সংক্ষিপ্ত

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। 

ধেয়ে আসছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’। কিন্তু এই ‘দানা’ শব্দটির আরও একটি আলাদা মাধুর্য রয়েছে বাঙালির মনে।

উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই বঙ্গোপসাগরের বুকে গভীর এক নিম্নচাপের সৃষ্টি হয়। আর বুধবার থেকেই সেই নিম্নচাপ জন্ম দিয়েছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’-র। ইতিমধ্যেই হাওয়া অফিস জানিয়ে দিয়েছে যে, ২৪ তারিখ ভোরবেলাতেই তা উত্তর-পশ্চিম বঙ্গোপসাগরে তীব্র ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হবে এবং তারপর পুরী-সাগরদ্বীপের মাঝামাঝি ওড়িশার ভিতরকণিকা ও ধামারা দিয়ে স্থলভাগে প্রবেশ করবে।

তবে এই ‘দানা’ বলতেই মনে পড়ে যায় বাঙালির অন্যতম প্রিয় ‘দানাদার’ মিষ্টির কথা। কারণ, এটি হল ঐতিহ্যবাহী একটি বাঙালি মিষ্টি। যা আসলে বাংলাদেশ এবং ভারতেই সবথেকে বেশি প্রচলিত। একটা সময় ছিল, যখন গ্রাম বাংলায় এই ‘দানাদার’ মিষ্টির মারাত্মক চাহিদা ছিল। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে অনেক নতুন মিষ্টির পরিচিতি ঘটেছে।

তাই বর্তমানে ‘দানাদার’ মিষ্টির চাহিদা কিছুটা হলেও কমেছে। জানা যায়, বাংলাদেশের (Bangladesh) বিভিন্ন মেলায় এখনও দানাদার মিষ্টি ব্যাপক পরিমাণে বিক্রি হয়। তবে শুধু ওপার বাংলাই নয়। কলকাতার (Kolkata) একাধিক দোকানে গেলে দেখা মেলে ‘দানাদার’ মিষ্টির। আর এই মিষ্টিটির অন্যতম একটি বিশেষ বৈশিষ্ট্য হল, এর গায়ে চিনির দানা লেগে থাকে।

কারণ, মিষ্টিটিকে ভেজে নিয়ে তারপর চিনির সিরায় সরাসরি ডুবিয়ে নেওয়া হয়। তারপর সেখান থেকে তুলে নিয়ে শুকনো চিনির উপর দিয়ে একটু মাখিয়ে নেওয়া হয়। তাই এই মিষ্টির নাম হল ‘দানাদার’।

জানা যায়, আজ থেকে প্রায় ১৩৪ বছর আগে বাংলাদেশের খুলনা জেলার ইন্দ্রমোহন সুইটসের ‘দানাদার’ মিষ্টি বেশ জনপ্রিয় ছিল। অনেক ঐতিহাসিকের মতে, এই মিষ্টিটির উৎপত্তিও সেখান থেকেই। সবমিলিয়ে, ‘দানা’ আছড়ে পড়ার আগে একটু দানাদার চেখে দেখতেই পারেন।

আরও খবরের আপডেট পেতে চোখ রাখুন আমাদের হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।