সংক্ষিপ্ত

দই পাতার এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর এবং এর সাহায্যে আপনি দইয়ের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টও বাড়াতে পারেন। এছাড়াও, এই পদ্ধতিটি আপনাকে বাজারের মতো ঘন এবং সুস্বাদু দই তৈরি করতে সহায়তা করবে।

আপনি কিভাবে বাড়িতে দই পাতবেন এবং কোন পাত্রে দই খুব ভালো জমে, কোন পাত্রে এটি সংরক্ষণ করে, এই সব বিষয় নিয়ে বিভ্রান্তিতে আছেন। এই দুটি জিনিসই দইয়ের স্বাদ এবং এর উপকারিতা নির্ধারণ করে। আসলে, দই পাতার এই পদ্ধতিটি খুবই কার্যকর এবং এর সাহায্যে আপনি দইয়ের মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টও বাড়াতে পারেন। এছাড়াও, এই পদ্ধতিটি আপনাকে বাজারের মতো ঘন এবং সুস্বাদু দই তৈরি করতে সহায়তা করবে। তো চলুন জেনে নেই দই পাতার এই পদ্ধতি সম্পর্কে।

কিভাবে মাটির পাত্রে দই বানাবেন

মাটির পাত্রে দই বসানো সবচেয়ে ভালো। এর থেকে দই পাতার সেরা পাত্র আর কিছু হতে পারে না। এই পদ্ধতিতে মাটির পাত্রে দই পাতা খুবই কার্যকর। এইভাবে, আপনি বাজারের মত দই পাততে পারেন। এর জন্য আপনাকে যা করতে হবে তা হল

১)যদি গ্রীষ্মকাল হয়, তবে এই ঋতুতে দই পাততে হলে প্রথমে দুধ খুব ঘন করে ফুটিয়ে ঠান্ডা হতে দিন। আপনার আঙুল দিয়ে প্রায় ঠান্ডা এবং শুধুমাত্র সামান্য উষ্ণ অবস্থায় দই পাতা উচিত। তারপর এই দুধটি একটি পাত্রে নিয়ে তাতে সামান্য টক দিন।

এবার এই দুধটি একটি চামচ দিয়ে প্রায় ৬ থেকে ৬ বার মিশিয়ে নিয়ে একটি পরিষ্কার মাটির পাত্রে ঢেলে নিন। এবার ওপর থেকে ঢেকে দিন। ৪ থেকে ৬ ঘন্টা রেখে দিন। আপনার দই একেবারে দোকানের মত স্বাদে প্রস্তুত হয়ে যাবে।

মাটির পাত্রে দই পাতার উপকারিতা-

মাটির পাত্রে দই রাখার অনেক উপকারিতা রয়েছে। প্রথমত, এটি সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং পাত্রের সঙ্গে প্রতিক্রিয়া করে না, যার কারণে এটির স্বাদ ভাল। এছাড়াও, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে, এর টক বাকিগুলির মতো দ্রুত বাড়ে না। তৃতীয় মাটির পাত্র দইয়ের অম্লীয় উপাদান শোষণ করে এবং এটিকে ক্ষারীয় করে না (ক্ষারত্বের ভারসাম্য বজায় রাখে)। এছাড়া দইতে থাকা ক্যালসিয়াম, জিঙ্ক, আয়রন এবং ফসফরাসের মতো মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট বাড়ায়।

এভাবে দই বানিয়ে খাওয়া আপনার স্বাস্থ্যের জন্য নানাভাবে উপকারী। সুতরাং, আপনি যদি কখনও চেষ্টা না করে থাকেন তবে অবশ্যই মাটির পাত্রে দই পাতার এই পদ্ধতিটি চেষ্টা করুন।