সংক্ষিপ্ত
- খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস এর ওপর মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা নির্ভর করে
- তাই সকলকেই একটা নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা প্রয়োজন
- তাই অসময়ের খিদেকে এড়িয়ে চলুন, সংযত থাকুন
- প্রতিদিন সকালে বা নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে শরীরচর্চা
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে সরকারের তরফে নির্দেশ বাড়িতে থাকার। টানা ২১ দিন বাড়ির বাইরে যাওয়া নিষিদ্ধ। তাই এমন পরিস্থিতিতে খুব স্বাভাবিকভাবেই বাড়িতে থেকে দিন কাটাতে হচ্ছে। তবে সমস্যাটা দেখা দিয়েছে, বাড়িতে থাকার কারণে বার বার ক্ষিদে পেয়ে যাচ্ছে। যার ফলে বৃদ্ধি পাচ্ছে ওজন। এমন সমস্যায় কি আপনিও ভুগছেন? শারীরিক গঠন এবং খাওয়া-দাওয়ার অভ্যাস এর ওপর মোটা হয়ে যাওয়ার প্রবণতা নির্ভর করে। তাই আমাদের সকলকেই একটা নির্দিষ্ট খাদ্যাভ্যাস মেনে চলা উচিত। তবে এমন এক জটিল পরিস্থিতে ঘরে থেকেই ব্যসস্থা নিতে হবে। তবে যখন তখন বা অসময়ের খিদেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে না পারলেই ঘটে বিপত্তি। আর এই স্বাভাবের ফলেই শরীরের বাড়তে থাকে মেদ। তাই অসময়ের খিদেকে এড়িয়ে চলুন। আর নিজেকে রাখুন সংযত। তাতে শরীরের বাড়তি মেদ জমার হাত থেকে মুক্তি পাবেন সহজেই।
আরও পড়ুন- লকডাউনে বাড়িতেই নিন ত্বকের যত্ন, কাজে লাগান সহজ এই ঘরোয়া উপাদান
অনেক ক্ষেত্রেই দেখা যায় চা বা কফি পান করলে খিদে পাওয়ার সম্ভাবনা অনেক কমে আসে। তাই অসময়ে খিদে পেলেই চিনি ছাড়া চা বা কফি পান করতে পারেন, এর ফলে মেদ বৃদ্ধির সম্ভাবনাও থাকে না। এর সঙ্গে প্রয়োজন প্রতিদিন সকালে বা নির্দিষ্ট সময়ে করতে হবে শরীরচর্চা। তাতে অসময় খিদের মাত্রা কমে যায়। দিনের শুরুতেই ব্যায়ম শরীরের পক্ষে অত্যন্ত উপযোগী। এতে শরীরের বহু সমস্যার হাত থেকে মুক্তি মেলে। নিজেকে বোঝান আর মনে রাখুন এই বিষয়গুলি। তবে হ্যাঁ যেমন ঘন ঘন পেট ভরে খাওয়াও বিপদ আবার খালি পেট রাখলেও চলবে না। কিছু না খেয়ে থাকলেও ওজন বৃদ্ধির সম্ভাবনা থাকে আরও বেশি। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে, মাথায় রাখুন এই বিষয়গুলি।
আরও পড়ুন- লকডাউনে ঘরে থেকেই কমিয়ে ফেলুন বাড়তি ওজন, মেনে চলুন অব্যর্থ এই ঘরোয়া টোটকা
অসময়ে খিদে পেলেই ফল খান। আপেল, শশা, শাকআলু, পাঁকা পেপে জাতীয় ফল খেতে পারেন। বেশি রসালো ফল অতিরিক্ত না খাওয়াই ভাল। এতে অতিরিক্ত মেদ বৃদ্ধির সম্ভাবনা তো থাকবেই না উল্টে শরীরের পক্ষে উপকারী। ওজন কমানোর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হল অতিরিক্ত পরিমানে জল পান। শরীরে জলের মাত্রা বজায় রাখতে বেশি করে জল পান করুন। জলের মাত্রা যদি শরীরে সঠিক থাকে, তবে শরীরের অনেক সমস্যায়ই কমে যায় এক ধাক্কায়। তাই জল বেশি করে খেলে খিদে কম পায়, খাবারও ভালো মতন হজম হয়। মিন্টের গন্ধ বা মিন্ট জাতীয় কোনও লজেন্স খিদের পাওয়ার মাত্রা অনেক কমিয়ে দেয়। তখন আর খাবারের দিকে ঝুঁকতে হয় না। এই জাতীয় সুগন্ধি ঘরে রাখলে তাতেও সুফল মিলতে পারে।