সংক্ষিপ্ত
- ম্যাক্সিকো তে, ডল আইল্যান্ড একটি ছোট দ্বীপ আছে
- ১৯৯০ সালে দ্বীপটি প্রথম সবার নজরে আসে
- দ্বীপের মধ্যে ভয়ঙ্কর চেহারার পুতুল ঝুলন্ত ভাবে রয়েছে
- ডল আইল্যান্ড দ্বীপের গল্পটির শুরু জুলিয়ান কে ঘিরে
পুতুলের সঙ্গে খেলা করতে কে না ভালোবাসে। কিন্তু এই পুতুলের সঙ্গে যদি কোনও ভৌতিক ব্যাপার জড়িয়ে থাকে, তাহলে তো ভয় করবেই। আর এমনই ঘটনা অনেকের মতে নাকি ম্যাক্সিকো শহরে ঘটতে দেখা গিয়েছে। ম্যাক্সিকো তে, ডল আইল্যান্ড একটি ছোট দ্বীপ আছে যাকে বলা হয়। ১৯৯০ সালে দ্বীপটি প্রথম সবার নজরে আসে। যখন ম্যাক্সিকোর সরকার এখানের খাল পরিষ্কার করার উদ্যোগ নেয়। ঠিক সেই সময় কিছু মানুষ খাল পরিষ্কার করতে গিয়ে এই দ্বীপটিতে পৌঁছে যায়। তারাই প্রথম দেখতে পায়, রহস্যজনক ভাবে এই দ্বীপটির মধ্যে কয়েকশো ভয়ঙ্কর চেহারার পুতুল ঝুলন্ত ভাবে রয়েছে। দ্বীপের প্রায় সব জায়গাতেই এই পুতুল গুলি ভয়ঙ্কর ভাবে রয়েছে। এই পুতুল গুলির দিকে তাকালে আপনিও ভয় পেয়ে যাবেন। গা ছমছম করে উঠবে আপনার।
ডল আইল্যান্ড দ্বীপের গল্পটির শুরু, এক জন মানুষকে কেন্দ্র করে। তার নাম জন জুলিয়ান ব্যাড়েরা। বহু বছর আগে তিনি ডল আইল্যান্ড দ্বীপে শান্তিতে থাকার জন্য এই দ্বীপটিতে আসেন। রহস্যজনক ভাবে তিনি আসার পরই সমুদ্রের কাছে একটি শিশু জলে ডুবে মারা যায়। শিশুটির মৃত্যুর পর জুলিয়ান একটি পুতুল ভেসে থাকতে দেখেন, ঠিক যেখানটায় শিশুটি ডুবে মারা গিয়েছিল।
অনেক পরে জানা যায়, একটা সময় নাকি শিশুটি তার পরিবারের সঙ্গে সেখানে এসেছিল। আর এরপর থেকেই সেখানে শুরু হয় নানা ভৌতিক ঘটনা। তারপর জুলিয়ান খুব সাহস করে সেই পুতুলটিকে জল থেকে তুলে নিয়ে আসেন। তারপর পুতুলটিকে গাছের ডালে ঝুলিয়ে রাখেন। শিশুটির আত্মার শান্তি কামনা করেই তিনি এটা করেন। এরপর থেকে তিনি যখনই বাইরে যেতেন, একটি করে পুতুল বাইরে দেখতে পেতেন। ধীরে ধীরে সেই দ্বীপে ভূতুড়ে পুতুলের সংখ্যা বাড়তে থাকে। ২০০১ সালে জুলিয়ানও ঐ দ্বীপে জলে ডুবে মারা যান। অনেকের মতে, ঐ শিশুটির আত্মাই নাকি জুলিয়ানকে হত্যা করেন।