সংক্ষিপ্ত

জো সুচ নামের এক যুবকের শরীর ধীরে ধীরে পাথরের মতো হয়ে যাচ্ছে। এটি এক ধরনের সিনড্রোম। এই রোগে হাঁটাও সম্ভব হয় নয়। চিকিত্সকরা এটিকে জেনেটিক রোগ বলে তবে এটি এতই বিরল যে এটি ২ মিলিয়নের মধ্যে এক জনের মধ্যে ঘটে।

 

চিকিৎসা ক্ষেত্রে একটি চমকপ্রদ ঘটনা সামনে এসেছে। যেখানে ধীরে ধীরে এক ব্যক্তির দেহ পাথরে পরিণত হচ্ছে। ২৯ বছরের যুবকের দেহ। এটা এমনই অদ্ভুত এক রোগ যে ডাক্তাররাও অবাক। ঘটনাটি নিউইয়র্কের। জো সুচ নামের এক যুবকের শরীর ধীরে ধীরে পাথরের মতো হয়ে যাচ্ছে। এটি ফাইব্রোডিসপ্লাসিয়া ওসিফিকানস প্রগ্রেসিভা (FOP) নামে এক ধরনের সিনড্রোম। এই রোগে হাঁটাও সম্ভব হয় নয়। চিকিত্সকরা এটিকে জেনেটিক রোগ বলে জানিয়েছেন তবে এটি এতই বিরল যে এটি ২ মিলিয়নের মধ্যে এক জনের মধ্যে ঘটে।

কত বিপজ্জনক এই রোগ-

জো তার ইউটিউব চ্যানেলে তার অসুস্থতার কথা জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত বিশ্বে মাত্র ৮০০ মানুষ এই সিনড্রোমের কবলে পড়েছেন। এখন পর্যন্ত এই রোগের কোনও প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি। তিনি বলেন, যখনই তার হাড় গজায়, তখনই তার মনে হয় যেন তার শরীরে একটি ছুরি ঢুকিয়ে দেওয়া হচ্ছে।

স্টোন ম্যান সিন্ড্রোম কি?

স্টোন ম্যান সিন্ড্রোম (ফাইব্রোডিসপ্লাসিয়া ওসিফিকানস প্রগ্রেসিভা) একটি জেনেটিক রোগ যাতে পেশী, লিগামেন্ট এবং টেন্ডনগুলি ধীরে ধীরে হাড়ে পরিণত হয়, যা একজন ব্যক্তির নড়াচড়া করা কঠিন করে তোলে।

স্টোনম্যান সিন্ড্রোমের লক্ষণ

এই সিনড্রোম সহজেই চেনা যায়। কিন্তু সাধারণ মানুষ এই সমস্যাটি জানে না, তাই কেউ এটিকে গুরুত্বের সঙ্গে নেয় না। এটি একটি নবজাত শিশুর পায়ের আঙ্গুল এবং বুড়ো আঙুলের সূক্ষ্মতা দেখে বোঝা যায়। শিশুর বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে লক্ষণগুলি আরও তীব্র হয়। টিস্যুগুলি ধীরে ধীরে ধড়, পিঠ, নিতম্ব এবং অঙ্গগুলির নীচে তাদের পথ তৈরি করে। এটি ঘটতে থাকে যতক্ষণ না ব্যক্তিটি সম্পূর্ণভাবে চলাফেরা বন্ধ করে দেয়।

স্টোনম্যান সিনড্রোমের কি কোনও প্রতিকার আছে?

স্টোন ম্যান সিনড্রোম একটি জেনেটিক এবং দুরারোগ্য রোগ। হাড় বৃদ্ধির বা নতুন হাড় গজানো আরও বেদনাদায়ক হেটেরোটোপিক হাড়ের বিকাশ ঘটাবে। চিকিৎসা বিজ্ঞান এমন কিছু ওষুধ আবিষ্কার করেছে, যার কারণে হাড়ের বৃদ্ধি শ্লথ হয়ে যেতে পারে। তবে এটি পুরোপুরি কার্যকর কি না, সেই বিষয়ে এখনও কিছু জানা যায়নি।