সংক্ষিপ্ত
বেগুন নানাভাবে রান্না করা যায়। ভাজা থেকে মাছের ঝোল - সবেতেই ব্যবহার কার হয় বেগুন। পাশাপাশি এটি ভার্তা, সর্ষে দিয়েও অত্যান্ত সুস্বাদুভাবে রান্না করা যায়।
নামে বেগুন হলেও এই সবজির খাদ্যগুণ প্রচুর। বেগুন অত্যান্ত স্বাস্থ্যকর একটি খাবার। বৈজ্ঞানিক নাম হল সোলানাম মেলোজেনা। এটি নানাভাবে রান্না করা যায়। ভাজা থেকে মাছের ঝোল - সবেতেই ব্যবহার কার হয় বেগুন। পাশাপাশি এটি ভার্তা, সর্ষে দিয়েও অত্যান্ত সুস্বাদুভাবে রান্না করা যায়। শীত, গ্রীষ্ম, বর্ষা -সব মরশুমেই বেগুন পাওয়া যায়। জানুন বেগুনের উপকারিতাঃ
১. অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট- বেগুনে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট রয়েছে। এটি নাসুনিন কেন্দ্রে অবস্থান করে। যৌগটি কোষের ব়্যাডিক্যাল, অক্সিডেটিভ স্ট্রেস ও প্রদাহের বিরুদ্ধে কাজ করে। এটি বার্ধক্যের বিরুদ্ধে লড়াই করতে পারে। দীর্ঘস্থায়ীভাবে রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
২. হৃদপিণ্ডের পুষ্টি
বেগুনে প্রচুর পরিমাণে পুষ্টি থাকে। এতে রয়েছে ফাইবার, পটাসিয়াম, ভিটামিন সি এবং বিভিন্ন বি ভিটামিন। কার্ডিওভাসকুলার স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। ডায়েটারি ফাইবার কোলেস্টেলরের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। পটাসিয়াম রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হার্টের রোগের ঝুঁকি কমাতে পারে।
৩. ওজন নিয়ন্ত্রণ
ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে বেগুন। এটি ক্যালরি কম। আর প্রচুর ফাইবার রয়েছে। বেগুন দীর্ঘ সময়ের জন্য পেট ভরা রাখতে পারে। তাই ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে। ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করলে নিয়মিত ডায়েটে বেগুন রাখতে পারেন। এটি হজমে দুর্দান্ত উপযোগী।
৪. ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ
ডায়াবেটিকে আক্রান্তদের জন্য বেগুন উপকারি। এটি রক্তে শর্করা বাড়াতে সাহায্য করে। বেগুনের কিছু যৌগ গ্লুকোজকে শোষণ করতে পারে। রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। গ্লুকোজের মাত্রা স্থির রাখে। বাপিকীয় ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে।
৫. হজমের সমস্যা
বেগুনের ফাইবার উপাদান হজমের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। খাদ্যতালিকাগত ফাইবার নিয়মিত অন্ত্রের গতিবিধিকে উৎসাহিত করে, কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে এবং একটি সুষম অন্ত্রের মাইক্রোবায়োমে অবদান রাখে। আপনার ডায়েটে বেগুন অন্তর্ভুক্ত করে, আপনি সক্রিয়ভাবে আপনার পাচনতন্ত্রের জটিল কাজগুলিকে সমর্থন করেন।