সংক্ষিপ্ত

প্রি-ডায়াবেটিক অর্থাৎ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এমন মানুষের সংখ্যা ১৩৬ মিলিয়নের কাছাকাছি, অর্থাৎ দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫.৩ শতাংশ এতে আক্রান্ত।

 

ডায়াবেটিসের ক্ষেত্রে, ভারতের পরিসংখ্যান প্রতিদিনই চমকে দিচ্ছে। বর্তমানে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ১০ কোটি ১০ লাখ। তিন বছর আগে পর্যন্ত দেশে ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা ছিল সাত কোটির কাছাকাছি। শুধু তাই নয়, প্রি-ডায়াবেটিক অর্থাৎ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত এমন মানুষের সংখ্যা ১৩৬ মিলিয়নের কাছাকাছি, অর্থাৎ দেশের মোট জনসংখ্যার ১৫.৩ শতাংশ এতে আক্রান্ত।

গোয়ায় ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা সর্বাধিক-

টাইমস অফ ইন্ডিয়ার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যের মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেটে প্রকাশিত আইসিএমআর-এর গবেষণা অনুযায়ী, গোয়ায় ডায়াবেটিস রোগীর সংখ্যা সবচেয়ে বেশি। তার পর পুদুচেরি ও কেরালায়। উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে এর গতি কিছুটা কম। যারা প্রি-ডায়াবেটিক যারা তাদের এই রোগ এড়াতে হবে, এদের প্রতিদিনের কিছু কাজ নিয়মিত করতে হবে। তবেই এই রোগ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।

ওজন কমানো-

আপনার ওজন বেশি হলে আজ থেকেই কমানোর চেষ্টা শুরু করুন। আপনার ওজন ৫ থেকে ১০ শতাংশ কমিয়ে আপনি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি এড়াতে পারেন।

 

খাদ্যতালিকাগত পরিবর্তন-

১) ওজন কমানোর পাশাপাশি, আপনার ডায়েটে স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট এবং প্রোটিন অন্তর্ভুক্ত করাও খুব গুরুত্বপূর্ণ। আপনার খাদ্যতালিকায় যতটা সম্ভব অঙ্কুরিত শস্য, ফল এবং শাকসবজি অন্তর্ভুক্ত করুন। এছাড়া অস্বাস্থ্যকর চর্বি ও চিনিযুক্ত খাবার কমিয়ে দিন।

২) রোজ খাদ্যতালিকায় রাখুন ফাইবার জাতীয় খাবার। এতে হজম প্রক্রিয়ায় সাহায্য করে। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা ঠিক রাখে সঙ্গে কোলেস্টেরলকে মাত্রা ঠিক রাখে। এতে শরীর থাকবে সুস্থ।

৩) শরীর সুস্থ রাখতে বারে বারে খাবার খান। এমন খাবার খান শরীর রাখবে সুস্থ। এটি শরীরে হজম প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। প্রতিদিন দুই বা তিনবার পেট ভরে খাবার পরিবর্তে অল্প অল্প করে সারাদিন খান। এটি শরীরে হজম প্রক্রিয়াকে উদ্দীপিত করে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস।

৪) প্রক্রিয়াজাত খাবার না খাওয়াই ভালো। অনেকে নিয়মিত কর্নফ্লেক্স খান, প্যাকেটজাত শরবত খান। এতে শারীরিক জটিলতা বৃদ্ধি পায়। তাই সুস্থ থাকতে এই সকল খাবার ত্যাগ করুন। এবার থেকে শুধু ওষুধ খেলে হবে না, সঙ্গে জীবনযাত্রায় এই কয়টি পরিবর্তন ডায়াবেটিস রাখবে নিয়ন্ত্রণে।

আরও পড়ুন- কাঁঠালের উপকারিতা জানলে আম ও পেয়ারা খাওয়া বন্ধ করে দেবেন, তবে কাঁচা খাবেন না পাকা জেনে নিন

আরও পড়ুন- এই রোগে শরীর বেলুনের মতো ফুলে যায়, লক্ষণগুলি সনাক্ত করে জীবনযাত্রার মান উন্নতি করুন

আরও পড়ুন- হার্ট অ্যাটাকে আক্রান্ত বেশিরভাগের মৃত্যু বাড়িতেই হয়, জেনে নিন এর কারণ ও এর থেকে রক্ষা পাওয়ার উপায়

ব্যায়াম করা-

প্রতিদিন নয়, সপ্তাহে অন্তত পাঁচ দিন ওয়ার্কআউট করার অভ্যাস করতে হবে। আপনি যত বেশি সক্রিয় থাকবেন, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি তত কম হবে।

 

খারাপ অভ্যাস এড়িয়ে চলুন-

সিগারেট ধূমপানের আসক্তি ইনসুলিনের মাত্রাকে নষ্ট করে। যা টাইপ-টু ডায়াবেটিসের ঝুঁকিতে থাকতে পারে। আপনি যদি আগে থেকেই সিগারেট বা অ্যালকোহলে আসক্ত হয়ে থাকেন, তাহলে তাদের থেকে অনুতপ্ত হতে শুরু করুন।

 

ডাক্তার দেখান-

টাইপ-টু ডায়াবেটিস এড়াতে, সময়ে সময়ে ডাক্তারের মতামত নেওয়া প্রয়োজন। আপনি যদি ঝুঁকির কাছাকাছি যাচ্ছেন তবে ডাক্তারের পরামর্শ আপনার জন্য সহায়ক হতে পারে।