সংক্ষিপ্ত

আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন এবং আপনার সমস্ত প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন, তবে এই ৩টি জিনিস দুধে মিশিয়ে পান করুন। ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়ামের সাথে ভিটামিন A, D এবং B12-ও দুধে থাকে।

বাড়তি মেদ নিয়ে সকলেই থাকেন চিন্তিত। এই মেদ কমাতে কেউ করেন কঠিন পরিশ্রম তো কেউ ডায়েটের নামে অর্ধেক খেয়ে দিন কাটান। এতে অনেকেরই বাড়ে শারীরিক জটিলতা। অতিরিক্ত স্থূলতা শুধু ব্যক্তির ব্যক্তিত্বই নষ্ট করে না, শরীরে আরও অনেক রোগের জন্ম দেওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। ওজন কমানো একটি চ্যালেঞ্জ এবং এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বেশ পরিশ্রম করতে হয়। বিশেষ করে আজকের যুগে যেখানে আমাদের শারীরিক পরিশ্রম নগণ্য হয়ে পড়েছে, সেখানে অস্বাস্থ্যকর খাবার-দাবার পাশাপাশি সবকিছুই এলোমেলো করে দিচ্ছে। এখন কি করতে হবে? আমরা অনেকেই এটাও মনে করি যে ব্যায়াম করলে আমাদের ওজন সহজে কমে যাবে, কিন্তু তা মোটেও নয়।

আপনি যদি দীর্ঘদিন ধরে ওজন কমানোর চেষ্টা করে থাকেন এবং আপনার সমস্ত প্রচেষ্টায় ব্যর্থ হন, তবে এই ৩টি জিনিস দুধে মিশিয়ে পান করুন। ফসফরাস, ক্যালসিয়াম, পটাসিয়াম, জিঙ্ক, ম্যাগনেসিয়ামের সাথে ভিটামিন A, D এবং B12-ও দুধে থাকে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকার করে। আপনি নিশ্চয়ই দেখেছেন মানুষ চর্বি পেতে কলা দিয়ে দুধ পান করতে। কিন্তু ওজন কমানোর জন্যও আপনি দুধে অনেক কিছু যোগ করে পান করতে পারেন। আসুন জেনে নিই তাদের সম্পর্কে।

দুধ ও হলুদ-

ওজন কমানোর জন্য দুধ ও হলুদের মিশ্রণ খুবই কার্যকরী বলে মনে করা হয়। এই প্রতিকারের জন্য, এক গ্লাস দুধে হলুদ গুঁড়ো মিশিয়ে প্রতিদিন রাতে ঘুমানোর সময় খান। একজন ব্যক্তির রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর পাশাপাশি হলুদের দুধ পান ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণ থেকেও রক্ষা করে। ওজন কমানোর জন্য এই প্রতিকার করলে ব্যক্তি দুর্বল বোধ করেন না।

দুধ এবং বাদাম

স্বাস্থ্যকর ওজন কমানোর জন্য, আপনার দুধের সাথে বাদাম মিশিয়ে পান করা উচিত। প্রতিদিন সকালে দুধের সাথে বাদাম খেলে একজন ব্যক্তি দীর্ঘক্ষণ ক্ষুধার্ত হয় না এবং অতিরিক্ত ডায়েট এড়িয়ে যায়। যা ধীরে ধীরে ওজন কমাতে সাহায্য করে। এই প্রতিকার করতে, এক গ্লাস দুধে বাদাম গুঁড়ো মিশিয়ে পান করুন।

দুধ এবং ডুমুর

ওজন কমাতে ডুমুরও দুধের সঙ্গে মিশিয়ে খাওয়া যেতে পারে। ডুমুরে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকায় একজন মানুষের পেট অনেকক্ষণ ভরা থাকে এবং তার কোষ্ঠকাঠিন্যের অভিযোগ থাকে না। এই প্রতিকারের জন্য, এক গ্লাস দুধে এক থেকে দুটি ডুমুর সারারাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে খালি পেটে এটি খেলে শরীরে শক্তি যোগানোর পাশাপাশি ওজন কমাতে সাহায্য করে।