এক গ্লাস ছাতু কমাবে বাড়তি মেদ, দেখে নিন কোন উপায় ছাতু খেলে মিলবে উপকার
- FB
- TW
- Linkdin
বাড়তি মেদ কমাতে আজ রইল বিশেষ টোটকা। বাড়তি মেদ কমাতে নিয়মিত খান ছাতু। এই বিশেষ উপায় ছাতু খেলে কমবে মেদ। মাত্র দু মাসে ফারাক বুঝতে পারবেন। এই বিশেষ পদ্ধতিতে ছাতু বানাতে প্রয়োজন ছাতু (৬ টেবিল চামচ), লেবুর রস (পরিমাণ মতো), জল (পরিমাণ মতো), নুন (এক চিমটে), গুড় (৪ টেবিল চামচ)
একটি বড় গ্লাসে ৬ টেবিল চামচ ছাতু যোগ করুন। তাতে দিন জল। ভালো ভালো করে মিশিয়ে নিন। এবার গুড় দিন। এতে এক চিমটে নুন দিয়ে ভালো করে মেশান। এবার দিন লেবুর রস। ভালো করে মিশিয়ে নিন। নিশ্চিত করুন যেন ছাতুর গুড়ো অংশ না থাকে। চাইলে গুড় নাও দিতে পারেন। যদি মিষ্টি ছাড়া খেতে পারেন তবে তা আরও উপকারী।
সকালে ব্রেকফাস্টে খেতে পারেন ছাতু। ওজন কনাতে এই সময় ছাতু খাওয়া বেশ উপকারী। ছাতুতে আছে নানান উপকারী উপাদান। যা স্থূলতা কমাতে সাহায্য করে। তেমনই এতে কোনও ফ্যাট নেই। ফলে আপনার শরীরে কোনও ক্যালরি প্রবেশ করবে না। সঙ্গে ছাতু খেলে অনেকক্ষণ পেট ভর্তি থাকে। তাই মিলবে উপকার।
প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম সব একাধিক খনিজ আছে ছাতুতে। এটিতে সোডিয়াম কম থাকে। এই শরবত এনার্জির জোগান ঘটায়। তেমনই ফাইবার আছে ছাতুতে। যা সুস্থ থাকতে অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। এটি একদিকে যেমন ওজন কমায় তেমনই শরীরে পুষ্টির জোগান ঘটায়।
গরমের সময় ছাতু বেশ উপকারী। শরীর ঠান্ডা রাখতে খেতে পারেন ছাতু। এটি শরীর থেকে টক্সিন বের করতে সাহায্য করে। এটি শরীরে শীতলতা প্রদান করে। তাই গরমের সময় নিয়মিত খেতে পারেন এই পানীয়। এটি শরীর রাখবে সুস্থ।
এছাড়াও ডায়াবেটিসের রোগীদের জন্য বেশ উপকারী ছাতু। বর্তমানে অনেকেই ডায়াবেটিসের সমস্যায় ভুগছেন। তারা রোজ ১ গ্লাস করে ছাকু থান। এটি রক্তে শর্করার মাত্রা রাখে নিয়ন্ত্রণে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার আছে যা উচ্চ কোলেস্টেরলের সমস্যা দূর করে। তাই নিয়ম করে ছাতু খান। এটি তৈরি করাও বেশ সহজ।
হজম ক্ষমতা উন্নত করতে ছাতু খেতে পারেন। ছাতুতে অদ্রবণীয় ফাইবার আছে। যা পাকস্থলী ও অন্ত্রের জন্য উপকারী। এটি কোলন থেকে চর্বিযুক্ত ও তৈলাক্ত খাবার সহজে অপসারণ করে। তাই মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। নিয়ম করে ছাতু খেলে মুক্তি পাবেন হজমের সমস্যা থেকে।
বাচ্চাদেরও ছাতু খাওয়াতে পারেন। প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, ম্যাঙ্গানিজ, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম সব একাধিক খনিজ আছে ছাতুতে। নিয়মিত ছাতু খেলে বাচ্চার স্বাস্থ্যের উন্নতি ঘটবে। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উন্নত হবে সঙ্গে শরীর থাকবে সুস্থ। চাইলে ছাতু দিনে নিত্য নতুন পদ বানিয়ে বাচ্চাকে খাওয়াতে পারেন। এতে স্বাদ ও স্বাস্থ্য দুদিকেই খেয়াল রাখতে পারবেন।
এরই সঙ্গে ওজন কমাতে চাইলে রোজ ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল খান। জল ডিটক্স ওয়াটারের কাজ করে। এটি শরীর থেকে বর্জ্য পদার্থ বের করে দেয়। শরীর রাখে হাউড্রেটেড। বিশেষ করে এই মরশুমে সকলেই ৭ থেকে ৮ গ্লাস জল পান করুন। মিলবে উপকার।
ওজন কমাতে রোজ এক্সারসাইজ করুন অন্তত ৩০ মিনিট হাঁটুন। সারাদিন যতটা পারবেন সক্রিয় থাকুন। তা না হলে বাড়তি মেদ কমা কঠিন হয়ে দাঁড়াবে। মেনে চলুন এই বিশেষ টিপস। তবেই দ্রুত কমবে ওজন। এর সঙ্গে অবশ্যই পান করুন ছাতুর শরবত।