সংক্ষিপ্ত
হেলথ ডেস্ক। পিত্তনালীর ক্যান্সার একটি বিরল কিন্তু মারাত্মক ক্যান্সার। পিত্তনালীর ক্যান্সারকে কোলানজিওকার্সিনোমাও বলা হয়। এই ক্যান্সার পিত্তনালীতে বিকশিত হয়। এই রোগ প্রায়শই ততক্ষণ পর্যন্ত ধরা পড়ে না যতক্ষণ না এটি তার সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়। তাই একে 'নীরব ক্যান্সার'ও বলা হয়। প্রতি বছর যুক্তরাজ্যে প্রায় ৬,০০০ মানুষ এই রোগে আক্রান্ত হন। পরিসংখ্যান অনুসারে, এর মধ্যে ৭০ শতাংশ রোগীর এক বছরের মধ্যে মৃত্যু হয়।
পিত্তনালীর ক্যান্সার কী?
পিত্তনালী হল ছোট নালী যা লিভার এবং পিত্তথলিকে সংযুক্ত করে। এগুলি পাচনতন্ত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, চর্বি ভাঙতে সাহায্য করার জন্য পিত্ত বহন করে। এই ক্যান্সার তখনই বিপজ্জনক হয়ে ওঠে যখন এটি উচ্চ পর্যায়ে পৌঁছে যায়, কারণ সেই সময় এটি প্রায়শই অস্ত্রোপচারের জন্য অনুপযুক্ত হয়ে পড়ে এবং তারপর এর চিকিৎসা করা খুব কঠিন হয়ে পড়ে।
পিত্তনালীর ক্যান্সারের লক্ষণ
এই রোগের প্রাথমিক লক্ষণগুলি খুবই ছোট তাই এগুলিকে সনাক্ত করা কঠিন হতে পারে। যাইহোক, কিছু সাধারণ লক্ষণ নিম্নরূপ:
১. অস্বাভাবিক ক্লান্তি
২. পাঁজরের নীচে ব্যথা
৩. পেটে ব্যথা
৪. ক্ষুধামন্দা
৫. জ্বর বা বমি
৬. ওজন কমে যাওয়া
জন্ডিস (পীলিয়া): যখন রোগটি উন্নত পর্যায়ে পৌঁছে যায়, তখন জন্ডিসের লক্ষণ দেখা দেয়। এতে ত্বক এবং চোখের রঙ হলুদ হয়ে যায়। এর সাথে- ত্বকে চুলকানি, হালকা রঙের মল, গাঢ় রঙের প্রস্রাব এই লক্ষণগুলি দেখা যায়। যদি এই লক্ষণগুলি দীর্ঘ সময় ধরে থাকে এবং উন্নতি না হয়, তাহলে অবিলম্বে আপনার ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করুন এবং লিভার ফাংশন পরীক্ষা করান। ডাক্তার লিভার ফাংশন পরীক্ষা এবং অন্যান্য পরীক্ষার মাধ্যমে এই রোগটি সনাক্ত করতে পারেন। পিত্তনালীর ক্যান্সার বিরল, তবে এর সনাক্তকরণ এবং চিকিৎসায় বিলম্ব জীবনহানির কারণ হতে পারে। সঠিক সময়ে পদক্ষেপ নিয়ে এটিকে নিয়ন্ত্রণ করা যেতে পারে।