চিজ শিশুদের জন্য প্রোটিন, ভিটামিন B12 এর ভালো উৎস, কিন্তু বেশি খেলে ওজন এবং কোলেস্টেরল বাড়তে পারে। ময়দা জাতীয় খাবারের সাথে চিজ খেলেও ক্ষতি হতে পারে।
আজকাল অনেকেই তাদের খাবারে চিজ খেতে পছন্দ করেন। বাচ্চা থেকে বড়রা কেবল পিৎজা, বার্গারেই চিজ খাচ্ছেন না, এখন পরোটা, পকোড়ার মতো ভারতীয় খাবারের সঙ্গেও চিজ খাওয়ার প্রবণতা বেড়েছে। এমন পরিস্থিতিতে অনেক অভিভাবকেরই চিন্তা থাকে যে, চিজ কি বাচ্চাদের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর? চিজ বাচ্চাদের জন্য স্বাস্থ্যকর কি না তা বুঝতে হলে আমাদের এর পুষ্টিগুণ সম্পর্কে জানতে হবে। চিজ দুধ থেকে তৈরি, যাতে লবণ, এনজাইম এবং ব্যাকটেরিয়া মেশানো হয়। এবার চিজের উপকারিতা এবং সম্ভাব্য ক্ষতি সম্পর্কে বিস্তারিত জানা যাক।
চিজ উপকারী না ক্ষতিকর?

চিজের উপকারিতা
প্রোটিনের ভালো উৎস –
২০ গ্রাম চিজে ২০% প্রোটিন থাকে, যা শিশুদের পেশী এবং হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে। এটি বেড়ে ওঠা শিশুদের জন্য খুবই উপকারী।
কোলেস্টেরল নিয়ে চিন্তার কিছু নেই –
চিজে ৬০% কোলেস্টেরল থাকে, তবে এ নিয়ে খুব বেশি চিন্তার দরকার নেই কারণ কোলেস্টেরল ভালো বা খারাপ নয়। শরীরের জন্য এটি সঠিক পরিমাণে প্রয়োজন।
চিনিমুক্ত এবং ভিটামিন B12 সমৃদ্ধ –
চিজে কোনও চিনি নেই, তাই এটি ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায় না। এতে ভিটামিন B12 আছে, যা মস্তিষ্কের বিকাশ এবং স্মৃতিশক্তির জন্য উপকারী।
বাচ্চাদের জন্য ভালো জলখাবার –
সঠিক পরিমাণে খেলে চিজ একটি ভালো এবং স্বাস্থ্যকর জলখাবার হতে পারে।
চিজ কখন ক্ষতিকর হতে পারে?
পিৎজা এবং বার্গারে চিজ –
ময়দা দিয়ে তৈরি খাবার (পিৎজা এবং বার্গার) এর সঙ্গে চিজ খেলে এটি কম স্বাস্থ্যকর হয়। ময়দা হজম করা কঠিন এবং ওজন বাড়াতে পারে।
বেশি খেলে ক্ষতি –
চিজে লবণ এবং ফ্যাট বেশি থাকে, তাই এটি পরিমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। বেশি খেলে ওজন এবং কোলেস্টেরল বাড়তে পারে।
