সংক্ষিপ্ত
চারিদিকে তীব্র দাবদাহ! এই সময়ে হিট স্ট্রোক হওয়া অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার। তবে জাানলে অবাক হবেন এই সময় শুধু হিট স্ট্রোকই নয় হতে পারে ডায়রিয়াও।
চারিদিকে তীব্র দাবদাহ! এই সময়ে হিট স্ট্রোক হওয়া অত্যন্ত সাধারণ ব্যাপার। তবে জাানলে অবাক হবেন এই সময় শুধু হিট স্ট্রোকই নয় হতে পারে ডায়রিয়াও।
চিকিৎসকদের মতে তাব্র দাবদাহে রোদে বেরোলেই জলশূন্যতা দেখা দেয়। এই সময় কিছু ভুলভাল জীবনযাপনের জন্য মারাত্মক পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। এই সময়ে তেষ্টা মেটাতে বহু পথচলতি মানুষ যেখান-সেখান থেকে জল পান করেন। কিংবা রাস্তার ধারে বিক্রি হওয়া আইসক্রিম, রঙিন শরবত বা লেবুর জল কিনে পান করেন। তাতে সংক্রমণের আশঙ্কা কয়েক গুণ বেড়ে যায়।
মেডিসিনের চিকিৎসক নারায়ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে, ‘‘সর্বত্র বিশুদ্ধ পানীয় জল পাওয়াটাই কঠিন। তাই তেষ্টা মেটাতে যেখানে সেখানে জল বা শরবত পান করে পেটের গোলমাল হচ্ছে।’’ তিনি আরও জানাচ্ছেন, দুপুরের তীব্র রোদে রাস্তায় দীর্ঘ ক্ষণ ঘোরাঘুরির মধ্যে যদি পেটে বার বার মোচড় দেয় কিংবা পাতলা পায়খানা হয়, তা হলে দেরি না করে বাড়ি গিয়ে বিশ্রাম নেওয়া ভাল। গা গোলানো, মাথা ঝিমঝিম, পাতলা পায়খানা— এগুলি সবই হিট স্ট্রোকের পূর্বাভাস। বুঝতে হবে বাইরের তাপ শরীরে প্রবেশ করে এমন সমস্যা হচ্ছে। গরমে পেটের গোলমালে শরীরে আরও বেশি জলশূন্যতা তৈরি হয় বলে জানাচ্ছেন সংক্রামক রোগের চিকিৎসক যোগীরাজ রায়। পেটের গোলমাল হলে বাড়িতে থেকে বার বার করে ওআরএস-এর জল খেতে হবে।’’
রাস্তার ধারে যে কাটা ফল বিক্রি হয় তাতেও শরীরের ভয়ঙ্কর ক্ষতি হতে পারে। তাতে মাছির মাধ্যমে বিভিন্ন ব্যাক্টিরিয়া বা ভাইরাসের সংক্রমণ হতে পারে। অনেকে আবার ফ্রিজ থেকে ঠান্ডা খাবার বের করে তা সাধারণ তাপমাত্রায় এলে খান। কিন্তু এই পদ্ধতি মারাত্মক খারাপ হতে পারে। এক্ষেত্রে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, যে ‘‘ফ্রিজ থেকে বার করে খাবার পুনরায় আগুনে গরম করে বা ফুটিয়ে নিয়ে খাওয়াই উচিত।’’ নইলে ডায়ারিয়ার মতো সমস্যা আরও ভয়ঙ্কর আকারে দেখা দিতে পারে।