সংক্ষিপ্ত

পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা এবং ক্র্যাম্প উপশমে গুড়ের চা উপকারী। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমায় এবং শরীরকে আরাম দেয়। আসুন জেনে নেই এর আরও উপকারিতা...

 

Benefits of Jaggery tea: শীতের মৌসুমে আমাদের সকাল শুরু হয় এক কাপ গরম চা দিয়ে। এমন পরিস্থিতিতে চিনির চায়ের পরিবর্তে গুড়ের চা পান করা শুধু উষ্ণতাই দেবে না, আমাদের সতেজতা ও শক্তিতেও পূর্ণ করবে। পুষ্টিগুণে ভরপুর গুড় আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। এটি শীতের একটি সুপারফুড হিসাবে বিবেচিত হয়। পিরিয়ডের সময় পেট ব্যথা এবং ক্র্যাম্প উপশমে গুড়ের চা উপকারী। এতে উপস্থিত অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট মানসিক চাপ কমায় এবং শরীরকে আরাম দেয়। আসুন জেনে নেই এর আরও উপকারিতা...

রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়-

গুড়ের মধ্যে অনেক ধরনের ভিটামিন, মিনারেল এবং অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট পাওয়া যায় যা আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে সাহায্য করে। নিয়মিত গুড়ের চা পান করলে শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে, যা যে কোনও মানুষের সুস্থ থাকার চাবিকাঠি। রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শরীরকে সংক্রমণ ও রোগের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সাহায্য করে। যখন আমাদের শরীর পর্যাপ্ত রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা দিয়ে সজ্জিত হয়, তখন এটি ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া এবং অন্যান্য সংক্রমণের বিস্তার রোধ করতে সক্ষম হয়।

রক্তাল্পতা উপশম-

গুড় একটি প্রাকৃতিক খাবার যাতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকে। প্রতিদিন গুড় খেলে আয়রনের ঘাটতি দূর হয়, যা রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি দেয়। গুড় দিয়ে চা পান করলে রক্তস্বল্পতা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।

গর্ভাবস্থায় উপকারী-

গর্ভাবস্থায় গুড়ের চা পান করলে নারীরা দুর্বলতা অনুভব করেন না। ক্যালরি, প্রোটিন, ক্যালসিয়াম, আয়রন এবং ভিটামিনের মতো পুষ্টিগুণ পাওয়া যায় গুড়ের মধ্যে। গুড়ের চা গর্ভাবস্থায় দুর্বলতা কমায় এবং মা ও শিশু উভয়ের জন্যই শক্তির ভালো উৎস। তাই গর্ভবতী মহিলাদের প্রতিদিন গুড়ের চা পান করা উচিত।

ঠান্ডা থেকে রক্ষা করে-

শীতকালে একটানা গুড়ের চা পান করলে সর্দি-জ্বরের মতো রোগ হয় না। তাই শীতকালে একটানা গুড়ের চা পান করা খুবই উপকারী।

গুড়ের চা কীভাবে তৈরি করবেন-

জল ভর্তি পাত্রে জল ও চা পাতা ও দুধ ভালো করে ফুটিয়ে ৫-৭ মিনিট ফুটিয়ে নিন। এরপর আঁচ বন্ধ করে এবার এতে গুড় দিন। এর পর চা পান করুন। এভাবে তৈরি করলে চা কখনই নষ্ট হবে না।