সংক্ষিপ্ত

অনেকেই দিনে ৫-৬টি আম খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া আমও ক্ষতিকর। তাই মাথায় রাখতে হবে দিনে কতটা আম খাওয়া উচিত আর কতটা নয়।

গ্রীষ্ম শুরু হলেই আমরা সবাই আমের অপেক্ষায় থাকি। আমকে বলা হয় ফলের রাজা। আম পছন্দ করেন না এমন মানুষ কমই আছে। এ মৌসুমে ছোট-বড় সবাইকে আম খেতে হয়। আম ভিটামিন সি সহ অত্যাবশ্যকীয় পুষ্টিগুণে ভরপুর। যার কারণে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। এতেও শরীরের উপকার হয়।

অনেকেই দিনে ৫-৬টি আম খেতে পারেন। তবে অতিরিক্ত খাওয়া আমও ক্ষতিকর। তাই মাথায় রাখতে হবে দিনে কতটা আম খাওয়া উচিত আর কতটা নয়। আম বেশি খেলে শরীরে ফোলাভাব, পেটে ব্যথা, আলসার ও বদহজম হয়।

কিছু গবেষণায় দেখা গেছে যে আমে প্রচুর পরিমাণে ফাইটোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে যা শরীরকে সুস্থ রাখতে অপরিহার্য। এটি শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার থাকে যা হজমশক্তি বাড়ায়।

স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের মতে, আম যদি সঠিকভাবে পরিষ্কার না করে খাওয়া হয়, তাহলে এর ক্ষতিকর উপাদান পেটের সমস্যা তৈরি করতে পারে। এ কারণে শরীরে বিষাক্ত পদার্থের পরিমাণ বেড়ে যায়। এ ছাড়া আম বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে তা উচ্চ রক্তে শর্করা, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা তৈরি করতে পারে।

দিনে কয়টি আম খেতে হবে?

আম একবারে বেশি পরিমাণে খাওয়া হলে তা স্বাস্থ্যগত সমস্যা তৈরি করতে পারে। বেশি আম খেলে পেটে গ্যাস, ব্যথা, শরীর ফুলে যাওয়া, ডায়রিয়ার মতো সমস্যা হতে পারে। তাই আম সীমিত পরিমাণে খাওয়া উচিত। দিনে সর্বোচ্চ ৩টি আম খেতে হবে। একদিনে এর চেয়ে বেশি আম খাবেন না।

আম খাওয়ার আগে এটি করুন

অনেক ব্যবসায়ী আম পাকাতে ক্যালসিয়াম কার্বাইড ব্যবহার করেন। এই রাসায়নিক জলে মিশে গেলে তা অ্যাসিটিলিন নামক গ্যাস নির্গত করে এবং ফল দ্রুত পাকে। এভাবে পাকানো ফল শরীরের জন্য বিষাক্ত। এটি গুরুতর সমস্যাও সৃষ্টি করতে পারে। তাই বাজার থেকে আম আনলে অন্তত ৩ ঘণ্টা জলেতে ভিজিয়ে রেখে ভালোভাবে পরিষ্কার করে খেতে হবে।

চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।