গাঁটের ব্যথা কমানোর জন্য কিছু আয়ুর্বেদিক টিপস সম্পর্কে আলোচনা করা হয়েছে। বেশিরভাগ মানুষই কম ব্যায়াম করেন এবং সকালের রোদও কম উপভোগ করেন। এর ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দেয়, যা অল্প বয়সেই গাঁটের ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
গাঁটের ব্যথার সমস্যা এখন শিশু এবং কিশোর-কিশোরীদের মধ্যেও সাধারণ হয়ে উঠেছে। এর প্রধান কারণ হলো খারাপ জীবনযাত্রা। হ্যাঁ, আজকের দ্রুতগতির যুগে বেশিরভাগ মানুষই কম ব্যায়াম করেন এবং সকালের রোদও কম উপভোগ করেন। এর ফলে শরীরে ক্যালসিয়াম ও ভিটামিন ডি-এর অভাব দেখা দেয়, যা অল্প বয়সেই গাঁটের ব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
এছাড়াও, শরীরে পিত্ত দোষ বেড়ে গেলে গাঁটের ব্যথা হতে পারে। তাই গাঁটের ব্যথা কমাতে শরীর থেকে অতিরিক্ত বাত দোষ দূর করা খুবই জরুরি। এর মধ্যে মানসিক চাপ এবং উদ্বেগও অন্তর্ভুক্ত, কারণ এগুলো শরীরে বাত দোষ বাড়িয়ে তোলে। এই পরিস্থিতিতে, গাঁটের ব্যথা কমাতে আয়ুর্বেদে কিছু টিপস দেওয়া হয়েছে। চলুন সেগুলো সম্পর্কে এখানে জেনে নেওয়া যাক।
গাঁটের ব্যথা কমাতে সহায়ক আয়ুর্বেদিক টিপস:
১. এই খাবারগুলো বিপজ্জনক!
যারা গাঁটের ব্যথা কমানোর চেষ্টা করছেন, তাদের অতিরিক্ত টক, বেশি মশলাদার এবং খুব বেশি গাঁজানো খাবার এড়িয়ে চলা উচিত। এর পরিবর্তে, শুধুমাত্র সুষম খাবার খান, যা গাঁটের ব্যথা কমাতে সাহায্য করবে।
২. স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা:
অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া, অতিরিক্ত ব্যায়াম করা, রাতে দীর্ঘক্ষণ জেগে থাকা এবং মানসিক চাপপূর্ণ জীবন শুধু শরীরের ব্যথা বাড়ায় না, গাঁটের ব্যথাও সৃষ্টি করে। তাই জীবনযাত্রার এই ভুলগুলো শুধরে নিলে গাঁটের ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
৩. স্বাস্থ্যকর ফ্যাট গ্রহণ করুন:
আয়ুর্বেদ অনুসারে ঘি, তিলের তেল এবং অলিভ অয়েলের মতো খাবারে স্বাস্থ্যকর ফ্যাট রয়েছে। এগুলো শুধু শরীরের স্বাস্থ্যের উন্নতি করে না, বরং গাঁটের ব্যথা কমিয়ে সেগুলোকে সুস্থ রাখতেও সাহায্য করে।
৪. তেল মালিশ:
গাঁটের ব্যথা দূর করার জন্য মালিশ একটি কার্যকরী উপায়। এর জন্য তিলের তেল, সর্ষের তেল বা ক্যাস্টর অয়েল গাঁটে লাগিয়ে আলতো করে মালিশ করলে ব্যথা থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। তবে আর্থ্রাইটিসের রোগীদের জন্য এই টিপসটি সুপারিশ করা হয় না।
৫. আয়ুর্বেদিক উপায়:
আয়ুর্বেদ বলে যে অশ্বগন্ধা, হলুদ এবং আদার মতো উপকরণ গাঁটের ব্যথা কমাতে খুব কার্যকর। যদিও এই সমস্ত উপকরণ সকলের জন্য উপকারী, তবে মনে রাখবেন যে ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া কোনো ওষুধ বা তেল নিজে থেকে ব্যবহার করা উচিত নয়। ব্যবহারের আগে অবশ্যই একবার ডাক্তারের সাথে কথা বলে নিন।


