সংক্ষিপ্ত

ভারতে চোখের ফ্লু বা কনজেক্টিভাইটিসের ক্ষেত্রে হঠাৎ বৃদ্ধির কারণ কী? এটা এড়ানোর উপায় কি? যে বাড়িতে এই সমস্যা আছে তার যত্ন কীভাবে নেবেন এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নিই।

সারাদেশে ক্রমাগত বাড়ছে চোখের সংক্রমণে আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বাড়ির প্রায় প্রতিটি সদস্য একের পর এক আক্রান্ত হচ্ছেন। চিকিৎসকেরা বলছেন, বর্ষার আবহাওয়ায় বাতাসে ভাইরাসের পরিমাণ বেড়ে যায়। সারাক্ষণই একটা অস্বস্তি অনুভূত হতে থাকে। স্পর্শকাতর ত্বক বা চোখের ক্ষেত্রে এ ধরনের লক্ষণগুলি বেশি দেখা যায়। তবে শরীর আর্দ্র রাখার পাশাপাশি চোখেরও যদি আর্দ্রতা বজায় রাখা যায়, সে ক্ষেত্রে এই ধরনের সমস্যা কিছুটা হলেও এড়িয়ে চলা যায়। ভারতে চোখের ফ্লু বা কনজেক্টিভাইটিসের ক্ষেত্রে হঠাৎ বৃদ্ধির কারণ কী? এটা এড়ানোর উপায় কি? যে বাড়িতে এই সমস্যা আছে তার যত্ন কীভাবে নেবেন এমন অনেক প্রশ্নেরই উত্তর দিচ্ছেন চক্ষু বিশেষজ্ঞরা। চলুন জেনে নিই।

আর্দ্রতার কারণে সংক্রমণ ছড়ায়

চোখের ফ্লুর ক্রমবর্ধমান কেস নিয়ে মানুষ চিন্তিত। কেন হঠাৎ করে সবার চোখে ফ্লু হয় সে বিষয়ে বিশেষজ্ঞ বলেন, বর্ষাকালে সংক্রমণের ঝুঁকি অন্য যেকোনো ঋতুর তুলনায় বেশি থাকে। এর কারণ বাতাসে আর্দ্রতা। এতে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস সহজেই তৈরি হয়।

দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে এই ভাইরাস

গত বছরের তুলনায় এ বছর জুলাই মাসে বেশি বৃষ্টি হয়েছে। যে কারণে প্রতি বছর আগস্ট পর্যন্ত যে রোগী থাকতেন, এ বছর শুধু জুলাই মাসেই দেখা যাচ্ছে। এ বছর এই ভাইরাস দ্রুত ছড়িয়ে পড়ছে।

এই সাবধানতা অবলম্বন করুন

পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখুন। বাইরে যাওয়ার সময় চশমা পরুন। আপনার তোয়ালে এবং জামাকাপড় কারো সাথে শেয়ার করবেন না। যারা সংক্রমিত তাদের স্কুল, কলেজ বা অফিস থেকে ছুটি নিতে বলুন।

চোখের ইনফেকশনের যত্ন নিন

ইনফেকশন হলে দিনে দুইবার ঠাণ্ডা জল দিয়ে চোখ ধুতে হবে। চোখের ড্রপ ব্যবহার করুন। শুধুমাত্র একজন চক্ষু বিশেষজ্ঞের দেওয়া ওষুধই এই সময় ব্যবহার করুন। মেডিকেল স্টোর থেকে লেখা ওষুধ খাবেন না। কারণ বেশির ভাগ দোকানেই স্টেরয়েড যুক্ত ওষুধ দেওয়া হচ্ছে, এতে সমস্যা বাড়লে মারাত্মক পরিণতি হতে পারে।

চোখের ফ্লু কত দিনে সেরে যাবে?

এটি ভাইরাল কনজেক্টিভাইটিস, তাই এটি এমন একটি রোগ যা নিজে থেকেই ভালো হয়ে যেতে পারে। একটি চোখ ধোয়ার বেসিন, তোয়ালে বা বালিশ পরিবারের সবাইকে সংক্রমিত করতে পারে। চোখের ফ্লু থেকে সেরে উঠতে ৩ থেকে ৫ দিন সময় লাগতে পারে। কিন্তু একের পর এক চোখে সংক্রমণ দেখা দিলে তা সারতে বেশি সময় লাগতে পারে।