সংক্ষিপ্ত

ফ্যাটি টিস্যুর কারণে ফুসফুসের ভিতরে শ্বাসনালীগুলির গঠন পরিবর্তিত হয়। যাদের ওজন বেশি তাদের শ্বাসনালীর দেয়ালের গঠনে আরও পরিবর্তন হতে দেখা গেছে।

ফুসফুসে চর্বি জমে মারাত্মক অসুস্থতা তৈরি করে। শরীরে নানা রোগের কারণ হয়ে দাঁড়াতে পারে ফুসফুসের চর্বি। বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি তাদের ফুসফুসে চর্বি হওয়ার ঝুঁকি দ্বিগুণ থাকে। আসলে, ফুসফুসে চর্বি জমার কারণে হাঁপানির ঝুঁকি সবচেয়ে বেশি। সাম্প্রতিক এক গবেষণায় দেখা গেছে স্থূলতা এবং ফুসফুসের স্বাস্থ্যের মধ্যে গভীর সম্পর্ক রয়েছে। গবেষকরা দেখেছেন যে চর্বিযুক্ত টিস্যু শ্বাসনালীগুলির দেয়ালে জমা হতে থাকে, বিশেষ করে যাদের ওজন বেশি বা ওবেসিটি যাদের রয়েছে তাদের এই সমস্যা দেখা যায়।

স্থূলতা অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার কারণ। অতিরিক্ত ওজন আপনাকে অনেক রোগের ঝুঁকিতে রাখে। নিয়মিত ব্যায়াম এবং সীমাবদ্ধ খাদ্য একটি স্বাস্থ্যকর ওজন বজায় রাখার মূল চাবিকাঠি। স্থূলতার স্বাস্থ্যের ঝুঁকি শুধুমাত্র হৃদরোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়, এটি ফুসফুসের স্বাস্থ্যকেও প্রভাবিত করতে পারে। ফ্যাটি টিস্যু মানুষের শ্বাসনালীগুলির গঠন পরিবর্তন করতে দেখা গেছে এবং এটি হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ার পিছনে একটি কারণ। .

অস্ট্রেলিয়ার স্যার চার্লস গার্ডনার হাসপাতাল থেকে গবেষণার লেখক জন এলিয়ট ব্যাখ্যা করেছেন যে ফ্যাটি টিস্যুর কারণে ফুসফুসের ভিতরে শ্বাসনালীগুলির গঠন পরিবর্তিত হয়। যাদের ওজন বেশি তাদের শ্বাসনালীর দেয়ালের গঠনে আরও পরিবর্তন হতে দেখা গেছে।

যাদের বডি মাস ইনডেক্স (BMI) বেশি ছিল তাদের শ্বাসনালীর দেয়ালে ফ্যাটি টিস্যু জমা ছিল এবং BMI বাড়ার সাথে সাথে চর্বির পরিমাণও বেড়ে যায় এবং এটি ফুসফুসের মধ্যে প্রদাহ বৃদ্ধিও দেখায়। এর ফলে শ্বাসনালী ফুলে ও পুরু হয়ে যায় এবং ফুসফুসের ভিতরে ও বাইরে বাতাস চলাচল ব্যাহত হতে থাকে। দীর্ঘ সময় এভাবে থাকলে হাঁপানির ঝুঁকি বাড়ে।

ফুসফুসে জমে থাকা চর্বি এই উপসর্গগুলো দিয়ে চিহ্নিত করুন

দীর্ঘ সময় ধরে বুকে ব্যথা

এক মাস বা তার বেশি সময় ধরে শ্লেষ্মা সমস্যা

নিঃশ্বাসের দুর্বলতা

রক্ত কাশি

ওজন কমানো

নিঃশ্বাসের দুর্বলতা

ক্লান্তি

স্থূলতার অন্যান্য বিপদগুলি জানুন

স্থূলতা আপনাকে অনেক স্বাস্থ্য সমস্যার উচ্চ ঝুঁকিতে ফেলতে পারে। এটি বিভিন্ন উপায়ে আপনার শরীরকে প্রভাবিত করতে পারে। স্থূলতার বিরূপ প্রভাব অন্তর্ভুক্ত হতে পারে-

১. হৃদরোগের ঝুঁকি বাড়ে

২. ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়

৩. বিভিন্ন ধরণের ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়

৪. উচ্চ রক্তচাপের সম্ভাবনা বাড়ায়

৫. শ্বাসকষ্ট বাড়তে পারে

৬. স্লিপ অ্যাপনিয়া হতে পারে

৭. গলব্লাডার এবং লিভারের রোগ বাড়িয়ে দিতে পারে

৮. গর্ভাবস্থায় বেশ কিছু জটিলতা তৈরি হতে পারে