সংক্ষিপ্ত

বিশেষজ্ঞদের মতে বাজারা বা মিলেটের পুষ্টিগুণ প্রচুর। ডায়েটিশিয়ানদের কথায় বাজরা নানাভাবে রান্না করা যায়। যা শিশুদের চাহিদা মেটায়।

 

ভারতের প্রাচীন শস্যগুলির মধ্যে একটি হল মিলেট বা বাজরা। কিন্তু বর্তমানে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর উদ্যোগে এই মিলেট বা বাজরা -রাগীর মত উপকারী শস্যগুলির প্রচল শুরু হয়েছে। সুস্বাদু এই শস্যগুলি দিয়ে নানা পদ তৈরি করে নিয়মিত খাওয়াতে পারেন আপনার সন্তানকে। কারণ মিলেট অত্যান্ত পুষ্টিকর একটি খাবর। এটি রোগ প্রতিরোধ বাড়াতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করে।

একাধিক বিশেষজ্ঞ জানিয়েছেন শিশুদের ডায়েটে নিয়মিত জোয়ার,বাজরা ও রাগীর মত শস্যগুলি রাখতে পারেন, তাহলে শিশুদের পুষ্টির অভাব হবে না। এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে আয়রন, ক্যালসিয়াম ও ফাইবার রয়েছে। এগুলিতে ম্যাগনেসিয়াম, কার্বোহাইড্রেটের মত পদার্থ রয়েছে। যা শরীরে প্রয়োজনীয় পুষ্টি প্রদান করতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে পরিবারের সদস্যদের মিলেট জাতীয় খাবার প্রদান করার ওপর জোর দিতে হবে।

বিশেষজ্ঞদের মতে বাজরা গ্লুটেন-মুক্ত খাবর। তাই ময়দার পরিবর্তে বাজারার তৈরি যেকোনও পদ পরিবেশন করা যেতে পারে। শিশুদের জলখাবার বা স্কুলের টিফিন নিয়ে অনেক সমস্যা রয়েছে। তাই বাজরার পদ টিফিনে দেওয়ার ব্যবস্থা করতে হবে মায়েদেন। বাজরা দিয়ে রুটি বা দোসা তৈরি করা যায়। পাশাপাশি পরটা বা প্যানকেকও তৈরি করা যায়। ডেজার্টেও বাজরার তৈরি পদ পরিবেশন করতে পারেন।

বিশেষজ্ঞদের মতে বাজারা বা মিলেটের পুষ্টিগুণ প্রচুর। ডায়েটিশিয়ানদের কথায় বাজরা নানাভাবে রান্না করা যায়। যা শিশুদের চাহিদা মেটায়।

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাজরা জাতীয় খাবারের দিকেই টেনে নিয়ে যেতে হবে তাদের স্বাস্থ্যকর জীবনের সন্ধান পেতে হলে। তাই আর দেরি না করে এখন থেকেই শিশুকে মিলেট বা বাজারার তৈরি খাবার খাওয়াতে শুরু করুন। মিলেট বা বাজরা দিয়ে কেক বা মিষ্টি তৈরি করা যায়। যা শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য খুবই উপকারী। মিলেট দিয়ে ঝাল খাবারও তৈরি করা যায়। মুখোরোচক খাবারও তৈরি করা যায়। তাই  আপনি নিয়মিত মিলেটের তৈরি পদ সন্তানকে দিতে পারেন তার স্বাস্থ্য ভাল রাখার জন্য।