সংক্ষিপ্ত

শিকাগোতে আমেরিকান সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন বার্ষিক সভায় সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে প্রথম দফায় ডেঙ্গুর ওষুধের পরীক্ষায় ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছিলেন।

 

বাংলাদেশ, পশ্চিমবঙ্গের বিস্তীর্ণ এলাকায় রীতিমত মহামারির আকার নিচ্ছে এডিস মশা বাহিত রোগ ডেঙ্গু। এমনই সময় কিছুটা হলেও স্বস্তির খবর শোনাল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। ডেঙ্গুর প্রথম ওষুধের ট্রায়াল দুর্দান্তভাবে সফল হয়েছে বলে দাবি করেছে আমেরিকার ওষুধ ও টিকা প্রস্তুককারণ সংস্থা জনসন অ্যান্ড জনসন। সংস্থার গবেষক মার্নিক্স ভ্যান লুক জানিয়েছেন, সম্প্রতি তাদের তৈরি ডেঙ্গুরর ওষুধটির মেডিক্যাল ট্রায়াল সম্পন্ন হয়েছে। সেই ট্রায়ালের ফলাফল বেশ সন্তোষজনক। তবে প্রথম দফায় স্বল্প কয়েক জনের ওপরই পরীক্ষা করা হয়েছে।

শিকাগোতে আমেরিকান সোসাইটি অফ ট্রপিক্যাল মেডিসিন অ্যান্ড হাইজিন বার্ষিক সভায় সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে প্রথম দফায় ডেঙ্গুর ওষুধের পরীক্ষায় ১০ জন স্বেচ্ছাসেবী অংশ নিয়েছিলেন। ট্রায়ালের প্রথমে স্বেচ্ছেসেবকদের ডেঙ্গুর ইনজেকশন দেওয়ার পাঁচ দিন আগেই জনসন অ্য়ান্ড জনসনের তৈরি হাইডোজের ওষুধ দেওয়া হয়েছিল। তারপর তাঁরা ২১দিন ধরে বড়ি খেতে থাকেন। ১০ জনেক মধ্যে ছয়জন প্যাথোজেনের সংস্পর্শে আসার পরে তাদের রক্তে কোনও সনাক্তযোগ্য ডেঙ্গু ভাইরাস দেখায়নি। ৮৫ দিন টানা তাদের পর্যবেক্ষণে রাখা হয়। তারপর দেখা গিয়েছে তাদের ইমিউন সিস্টেম ডেঙ্গুর ভাইরাসে আর কোনও সাড়া দিচ্ছে না। অন্যদিকে যাদের শুধুমাত্র ইনজেকশনের মাধ্যমে চিকিৎসা করা হচ্ছিল তাদেরও পরীক্ষা করা হয়। দেখা যায় তাদের শরীরে ডেঙ্গুর ভাইরাস বর্তমান রয়েছে।

সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে এবার দ্বিতীয় পর্বের ট্রায়েলের প্রয়োজন রয়েছে। সংস্থার পক্ষ থেকে জানান হয়েছে, ওষুধ দুটি ভাইরাল প্রোটিনের ক্রিয়াকে অবরুদ্ধ করতে সাহায্য করে। ভাইরাসটিকে নিজের প্রতিলিপি বা বংশ বিস্তারে বাধা দেয়। প্রথম পর্বের ট্রায়ালে অংশগ্রহণকারীদের কোনও সাইডএফেক্ট দেখা যায়নি। ডেঙ্গু আধুনিক বিশ্বে একটি বড় হুমকি হয়ে দাঁড়াচ্ছে। এই রোগের কোনও নির্দিষ্ট চিকিৎসা এখনও পর্যন্ত নেই। চলতি বছর শুধুমাত্র ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে ১ লক্ষেরও বেশি মানুষের মৃত্যু হয়েছে। তাই এই বড়ি যদি কার্যকর হয় তাহলে একটি বড় সমস্যার সমাধান হবে।