সংক্ষিপ্ত

 ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঘি উপকারী হতে পারে। এটি হজম, বিপাক উন্নত করে, ত্বককে হাইড্রেট করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। গরুর ঘি এর উপকারিতা সম্পর্কে জানুন।

 আমরা যা খাই তার সরাসরি প্রভাব পড়ে গ্লুকোজ লেভেলের উপর। ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য কিছু তেল উপকারী, আবার কিছু তেল ক্ষতিকর। ডায়াবেটিস রোগীদের মনে প্রায়ই প্রশ্ন জাগে, ঘি কি স্বাস্থ্যকর নাকি ক্ষতিকর? ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ঘি এর উপকারিতা এবং ক্ষতি সম্পর্কে জেনে নিন। 

ডায়াবেটিস রোগীদের ঘি সেবন

ঘি শুধু খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, এতে প্রচুর পরিমাণে ফ্যাট এবং ক্যালোরিও থাকে। ঘিতে ভিটামিন A, D এবং K পাওয়া যায়। বিউটাইরিক অ্যাসিড এবং লিনোলিক অ্যাসিডও ঘিতে পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। ঘি খেলে হজম এবং বিপাকের উপর ভালো প্রভাব পড়ে। এছাড়াও ঘিতে অন্যান্য পলিআনস্যাচুরেটেড ফ্যাট থাকে যা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। কম গ্লাইসেমিক ইনডেক্সের কারণে ঘি খেলে রক্তে শর্করার মাত্রার উপর তেমন প্রভাব পড়ে না। যদি ডায়াবেটিস রোগীরা নিয়মিত অল্প পরিমাণে ঘি খান, তাহলে শরীরের কোন ক্ষতি হয় না বরং উপকারই হয়।

গরুর ঘি সেবন করুন ডায়াবেটিস রোগীরা

ঘিতে থাকা শর্ট-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড, বিউটাইরিক অ্যাসিড ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা এবং গ্লুকোজ বিপাকে কার্যকর ভূমিকা পালন করে। মহিষের ঘি এর চেয়ে গরুর ঘি ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য ভালো। দৈনিক খাদ্যতালিকায় মাত্র এক চামচ গরুর ঘি সেবন করতে পারেন ডায়াবেটিস রোগীরা।

সুস্থ ত্বকের জন্যও ঘি উপকারী

ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট এবং প্রাকৃতিক ইমোলিয়েন্ট সমৃদ্ধ ঘি তাদের জন্যও উপকারী যাদের ত্বক শুষ্ক থাকে। শীতকালে ঘি সেবন করলে শরীরের অনেক উপকার হয় এবং ত্বক হাইড্রেটেড থাকে।

ঘি বাড়ায় রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা

ঘিতে উপস্থিত বিউটাইরিক অ্যাসিড টি কোষের উৎপাদন বাড়ায়। এর ফলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়। ডায়াবেটিস রোগীরা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে প্রতিদিন ১ থেকে ২ চামচ ঘি খেতে পারেন।

Disclaimer: যদি আপনি ডায়াবেটিস রোগী হন, তাহলে যেকোনো ধরনের খাবার বা ফল আপনার খাদ্যতালিকায় যোগ করার আগে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।