সংক্ষিপ্ত

প্রবল চাপ রয়েছে অনেকই কাঁধে। কারো কাজের, কারও আবারও পড়াশুনা। ৮-৮০ অন্যের প্রত্যাশা পুরণের চাপ নিয়েই দিন কাটে। তাই চাপ মোকাবিলার সহজ উপায় রইল।

 

সকাল থেকে রাত -দৌড় ঝাঁপ করে কেটে যায় অধিকাংশ মানুষের দিন। প্রবল চাপ রয়েছে অনেকই কাঁধে। কারো কাজের, কারও আবারও পড়াশুনা। ৮-৮০ অন্যের প্রত্যাশা পুরণের চাপ নিয়েই দিন কাটে। এই অবস্থায় একাধিক রোগে আক্রান্ত অধিকাংশ মানুষ। যারমধ্যে মারাত্মক একটি রোগ হল অ্যাংজাইটি বা উদ্বেগ। একাধিক লক্ষণ রয়েছে এই রোগের। এটি মানুষের শারীরিক ও মানসিক সমস্যা তৈরি করে। তবে পাঁচটি কারণ কারণ যদি দেখতে পান তাহলে প্রথম থেকেই সতর্ক হওয়া প্রয়োজন।

কাঁপা

উদ্বেগের সবচেয়ে সাধারণ এবং উদ্বেগজনক লক্ষণগুলির মধ্যে একটি। আপনি যদি আপনার শরীরে কাঁপুনি বা ঝাঁকুনি অনুভব করেন তবে এটি একটি লক্ষণ হতে পারে যে আপনি অভিভূত এবং উদ্বিগ্ন বোধ করছেন। এই কম্পন হাত, পা, এমনকি আপনার পুরো শরীরে হতে পারে। এটির মানে হল আপনি প্রবল ভাবে উদ্বিগ্ন রয়েছে। আর ট্রেস লেভেল কমাতে সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। তার জন্য অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ প্রয়োজন।

অসাড় হয়ে যাওয়া

আপনার শরীরের কোনও অংশ যদি অসাড় হয়ে যায় তাহলে দ্রুত চিকিৎসকের কাছে যাওয়ার প্রয়োজন রয়েছে। প্রবল ট্রেসে যদি কোনও মানুষ অসাড় হয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সেই ব্যক্তি বা মহিলা নিজের আবেগকে ঠিকমত প্রকাশ করছেন না। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে চাপের মাত্র কমানোর পরামর্স নেওয়া অত্যান্ত জরুরি।

মনসংযোগে সমস্যা

নিজের কাজে যদি ফোকাস করতে না পারেন তাহলে বুঝতে হবে আপনি প্রবল চাপের মধ্যে রয়েছে। কোনও কারণে উদ্বেগ বাড়ছে। যা আপনার স্মৃতি শক্তিতে সমস্যা তৈরি করছে।

নিদ্রাহীনতা

উদ্বেগ বাড়ার অন্যতম একটি লক্ষ্ণন হল নিদ্রাহীনতা। দুশ্চিন্তার কারণে অনেক সময়ই ঘুমের ব্যাঘাত ঘটে। অন্যদিকে ঘুমের ঘাটতির কারণেও ট্রেস বাড়তে পারে। এই সমস্যা দ্রুত দূর করা জরুরি।

কাজ বা সম্পর্ক নিয়ে চিন্তা

দিনের অধিকাংশ সময় যদি আপনি চিন্তা করেন তার প্রভাব আপনার মনের ওপর পড়তে বাধ্য। চাই কাজের ট্রেস কাটানোর জন্য অবশ্যই অন্যদেক সঙ্গে কথা বলা জরুরি। সম্পর্কের চাপ কাটানোর জন্য যাকে নিয়ে চিন্তা করছেন তার সঙ্গেই আলোচনা করুন। তাঁর সঙ্গে সময় কাটান। দেখবেন অনেকটাই চাপমুক্ত হবেন।

তবে চাপ কাটানোর সহজ উপায় হল অল্প কয়েক দিনের ছুটি নিয়ে কোথাও ঘুরে আসা। পরিবার ও বন্ধুদের সঙ্গে যাওয়াই শ্রেয়। আড্ডানমারা গান শোনা আর বই পড়া বা সিনেমা দেখার মাধ্যমেও চাপ কাটিয়ে উঠতে পারে।