সংক্ষিপ্ত

জিঙ্ক সমৃদ্ধ পাঁচটি খাবার রয়েছে যা যে কোনও মানুষের স্বাস্থ্যকে আরও উন্নত আর সুগঠিত করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।

 

শরীরের উন্নত পুষ্টির জন্য জিঙ্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এই খনিজটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে। হাড় শক্ত করতে পারে। প্রাকৃতিক উপায় জিঙ্ক যদি গ্রহণ করেন তাহলে স্বাস্থ্য ভাল হয়। জিঙ্ক সমৃদ্ধ পাঁচটি খাবার রয়েছে যা যে কোনও মানুষের স্বাস্থ্যকে আরও উন্নত আর সুগঠিত করে। পাশাপাশি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও সাহায্য করে।

এই খাবারগুলি হল-

১। ঝিনুক

এটিতে প্রচুর পরিমাণে দস্তা বা জিঙ্ক থাকে। একটি পুষ্টির একটি পাওয়ার হাউস। ওমেগা-৩, ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন বি১২ ও আয়রন রয়েছে। নিয়মিত ঝিনুক খাওয়া হলে শরীরে প্রয়োজনীয় জিঙ্কের প্রয়োজনীয়তা পুরণ করে। পাশাপাশি এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে পারে।

২। চর্বিহীন মাংস

চর্বিহীন মাংস যেমন, মুরগির মাংস জিঙ্কের একটি চমৎকার উৎস। এতে প্রচুর পরিমাণে খনিজ পদার্থ থাকে। যা পেশীর বৃদ্ধি ও মেরামিততে সাহায্য করে। পাশাপাশি যে কোনও চর্বিহীন মাংসতে প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন থাকে। তাই নিশ্চিন্তে ডায়েটে চর্বিহীন মাংস রাখতে পারেন।

৩। দানা শস্য

ছোলা বা মুসুর ডালের সঙ্গে মরটশুঁটি হল জিঙ্কের দুর্দান্ত উৎস। উদ্ভিদ-ভিত্তিক জিঙ্ক সমৃদ্ধ এই শস্যগুলি । যারা নিরামিষাশী তাদের জন্য এগুলি দুর্দান্ত জিঙ্কের উৎস হতে পারে। যারা কোনও প্রানীজ প্রোটিন গ্রহণ করেন না তাদের পুষ্টির ঘাটতি মেটাতে এগুলি সাহায্য করে। এতে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার ও অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট রয়েছে। যা শরীর ভাল রাখতে সাহায্য করে।

৪। বীজ ও বাদাম

কুমড়ার বীজ, তিলের বীজ, শণের বীজ, কাজু এবং বাদাম, দস্তায় ভরপুর পুষ্টির শক্তিশালা। এই ক্রাঞ্চি স্ন্যাকসগুলি কেবল সুবিধাজনক নয় বরং অবিশ্বাস্যভাবে বহুমুখী, এগুলিকে বিভিন্ন খাবারের মধ্যে অন্তর্ভুক্ত করা সহজ করে তোলে। স্যালাড, দই বা ওটমিলের সঙ্গে এগুলি খাওয়া যেতে পারে। এটি খাবারকে যেমন সুস্বাদু করে তেমনই স্বাস্থ্যকরও করে।

৫। দুগ্ধজাত পণ্য

পনির ও দুধের মত দুগ্ধজাত পণ্য জিঙ্কের দুর্দান্ত উৎস। এগুলিতে জিঙ্কের পাশাপাশি ক্যালসিয়াম, ভিটামিন ডি ও প্রোবায়োটিক রয়েছে। এগুলিও প্রয়োজনীয় পুষ্টি সরবরাহ করে। এটি হাড়ের স্বাস্থ্য ও অন্ত্রের স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই ডায়েটে নিয়মিত এগুলি রাখা হয় তাহলে সেগুলি স্বাস্থ্যের জন্য উপাকারি।