রান্নাঘরে পুড়ে গেলে বরফ লাগানো ঠিক নয়। ডঃ অগ্নি জানাচ্ছেন, ঠান্ডা জল ব্যবহার করাই উত্তম এবং পোড়ার পরে অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম লাগানোর পরামর্শ দিচ্ছেন। ফোস্কা হলে তা ফাটানো একেবারেই উচিত নয়।
রান্নাঘরে কাজ করার সময় হাত বা শরীরের কোনও অংশ পুড়ে যাওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা। অধিকাংশ মানুষই এমন পরিস্থিতিতে সঙ্গে সঙ্গে বরফ প্রয়োগ করেন। কিন্তু চিকিৎসাবিজ্ঞান বলছে, এই অভ্যাস আদতে ক্ষতিকারক। প্রখ্যাত চিকিৎসক ডঃ অগ্নি সম্প্রতি জানিয়েছেন, পোড়ার ক্ষেত্রে প্রাথমিক চিকিৎসার ক্ষেত্রে বরফ নয়, ঠান্ডা জলই সবচেয়ে কার্যকর ও নিরাপদ উপায়।
ডঃ অগ্নি জানিয়েছেন, পোড়ার পরে সেই স্থানে সরাসরি বরফ লাগালে ত্বকের ক্ষতির পরিমাণ বেড়ে যেতে পারে। বরফ ত্বককে অতিরিক্ত ঠান্ডা করে দিয়ে কোষের উপর আরও চাপ সৃষ্টি করে, ফলে পোড়ার গভীরতা বেড়ে যেতে পারে। বরং সেই স্থানে ১০ মিনিট ধরে পরিষ্কার ঠান্ডা জলের ধারা দেওয়া উচিত। এতে পোড়া স্থানের ভেতরে জমে থাকা তাপ ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসে এবং ব্যথা ও জ্বালাপোড়া কমবে।
ঠান্ডা জল প্রয়োগের পর, পোড়া জায়গায় অ্যান্টিবায়োটিক ক্রিম যেমন মুপিরোসিন বা ফুসিডিক অ্যাসিড ব্যবহার করার পরামর্শ দেন ডঃ অগ্নি। এই ধরনের ক্রিম সংক্রমণ রোধ করে এবং ক্ষত দ্রুত শুকিয়ে উঠতে সাহায্য করে।
অনেকে পোড়ার জায়গায় তুলো ব্যবহার করেন, যা ডঃ অগ্নির মতে ভুল পদ্ধতি। তুলো ক্ষতের সঙ্গে লেগে গিয়ে পরে তা সরাতে গিয়ে অতিরিক্ত ক্ষতি হতে পারে। পরিবর্তে জীবাণুমুক্ত গজ ব্যবহার করা উচিত। এটি শুধু ক্ষতকে ঢেকে রাখে না, বাইরের ধুলোমাটি বা জীবাণু থেকেও সুরক্ষা দেয়।
ফোস্কা হলে কী করবেন?
পোড়ার পরে অনেক সময় ক্ষতস্থানে ফোস্কা তৈরি হয়। এক্ষেত্রে ফোস্কা ফাটানো একেবারেই উচিত নয়। কারণ ফোস্কা হলো শরীরের একটি প্রাকৃতিক প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা, যা ক্ষতকে সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে। যদি ফোস্কা খুব বড় হয় বা বেশি ব্যথা দেয়, তাহলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
ড্রেসিং কীভাবে করবেন?
ড্রেসিং করার সময় যদি ব্যান্ডেজ ভিজে যায়, তাহলে তা আলতোভাবে খুলে পরিষ্কার করে নতুন ব্যান্ডেজ দিতে হবে। প্রতিদিন নিয়মিত পরিষ্কার ও ড্রেসিং করলে ক্ষত তাড়াতাড়ি সারে এবং চিহ্নও পড়ে না।


