সংক্ষিপ্ত

বর্ষাকালে সুস্থ যদি থাকতে চান তাহলে রোজ পাতে রাখুন এক থেকে দেড় চামচ ঘি। কারণ ঘিতে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম।

 

গরমকাল বিদায় নিয়েছে। বর্ষা এসেছে। আর সেই কারণেই বদলে যাচ্ছে খাওয়া দাওয়ার অভ্যাসও। কারণ বর্ষাকালে শরীর সুস্থ রাখার জন্য প্রকৃতির নিয়মেই খাদ্যাভ্যাসে বদল ঘটে। যাইহোক বর্ষাকালে সুস্থ যদি থাকতে চান তাহলে রোজ পাতে রাখুন এক থেকে দেড় চামচ ঘি। কারণ ঘিতে রয়েছে স্বাস্থ্য উপকারিতা অপরিসীম। এটি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। পাশাপাশি হজমের উন্নতি বাড়ায়।

রইল বর্ষাকালে ঘি-এর স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ

১. রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়

ঘি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে ভরপুর, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী করতে সাহায্য করে এবং বর্ষাকালে সর্দি-কাশি ও ফ্লু প্রতিরোধ করে। ঘিতে ভিটামিন A, D, E এবং K এর পাশাপাশি ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড রয়েছে। এই পুষ্ঠিগুণ একাধিক অসুস্থতার বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে কাজ করে।

২. হজমের উন্নতি

বর্ষাকালে হজমের সমস্যা দেখা দেয়। তাই এই সময় প্রতিদিন ঘি খাওয়া জরুরি। এটি পরিপাকতন্ত্রকে লুব্রিকেট করতে এবং প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। ঘি খাওয়া অন্ত্রে স্বাস্থ্যকর ব্যাকটেরিয়া বাড়াতে সাহায্য করে, যা হজমে সাহায্য করে এবং পুষ্টির শোষণ বাড়ায়। এটি বমি বমি ভাব, ফোলাভাব এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের মতো বদহজমের লক্ষণগুলি থেকে মুক্তি দিতে পারে।

৩.মেটাবলিজম বাড়ায়

ঘি খাওয়া আপনার মেটাবলিজম বাড়াতে এবং আরও দক্ষতার সাথে চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। কারণ ঘি এর মধ্যে রয়েছে মিডিয়াম-চেইন ফ্যাটি অ্যাসিড (MCFAs) যা সহজেই শরীর দ্বারা শোষিত হয় এবং শক্তির জন্য দ্রুত পুড়ে যায়। এটি শক্তির মাত্রা বাড়াতে সাহায্য করে এবং ওজন কমাতেও সাহায্য করে।

৪. মস্তিস্কের কার্যকারিতা বাড়ায়

ফ্যাটি অ্যাসিডের উচ্চ কার্যকারিতার মস্তিষ্কের কার্যকারিতা বাড়াতে পারে। ঘিতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ফ্যাটি অ্যাসিড। ওমেগা ৩ রয়েছে। যা মানসিক স্বাস্থ্যের উন্নতি করে। মেজাজ ভাল রাখতে ঘি অন্যন্য।

৫. ভিটামিনের উৎস

ঘি A, D, E এবং K2 সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন সরবরাহ করে যা সামগ্রিক স্বাস্থ্য এবং সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। ভিটামিন এ আপনার দৃষ্টিশক্তি রক্ষা করতে সাহায্য করে, ভিটামিন ডি শক্তিশালী হাড় গঠনে সহায়তা করে। ভিটামিন K2 সুস্থ হাড় ও দাঁতের জন্য আপনার সারা শরীরে ক্যালসিয়াম পরিবহনে সহায়তা করে।

৬. খনিজ পদার্থের উৎস

ঘিতে ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, সেলেনিয়াম, জিঙ্ক এবং আয়রনের মতো খনিজ পদার্থও বেশি থাকে যা বর্ষাকালে স্বাস্থ্যকর হাড়, ত্বক এবং চুলকে উন্নীত করতে সাহায্য করে। বর্ষা ঋতুতে যখন ভিটামিন ডি উৎপাদনের জন্য অল্প সূর্যালোক পাওয়া যায় তখন শরীরে লোহিত রক্তকণিকার নিম্ন স্তরের কারণে রক্তাল্পতা প্রতিরোধের জন্য আয়রন একটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ খনিজ।

এই ছটি কারণে বর্ষাকালে প্রতিদিন এক চামচ ঘি খেতেই পারেন। তাহলে মনও ভাল থাকবে। শরীরও ভাল থাকবে।