সংক্ষিপ্ত

টিফিন বা স্ন্যাক্স টাইমে এজাতীয় কাবারগুলির জুড়িমেলা ভার। তবে এই খাবারগুলি খুবই অস্বাস্থ্যকর। এগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রচুর।

 

কুড়মুড়ে চিপস, ফ্রেঞ্চফ্রাই , চানাচুর এজাতীয় মুখোরোচক ভাজাভুজি খেতে কার না ভাললাগে। বড়দের পাশাপাশাপাশি শিশুদেরও এগুলি অত্যন্ত প্রিয়। তাই এজাতীয় খাবারগুলির চাহিদা দ্রুত বাড়েছে। টিফিন বা স্ন্যাক্স টাইমে এজাতীয় কাবারগুলির জুড়িমেলা ভার। তবে এই খাবারগুলি খুবই অস্বাস্থ্যকর। এগুলির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া প্রচুর।

বিশেষজ্ঞদের কথায় এগুলিতে প্রচুর পরিমাণে প্রিজারভেটিভ থাকে। কাঁচা অবস্থাতেই প্রচুর পরিমাণে কেমিক্যাল ব্যবহার করা হয়। আর সেই কারণেই এজাতীয় খাবারগুলির গুণ নষ্ট হয়ে যায়। চিপস, চানাচুর বা ফ্রেঞ্চফ্রাই যদি নিয়মিত খাওয়া হয় তাহলে ব্লাডপ্রেসার, ওজন বৃদ্ধি, হার্টের সমস্যা, হজমের সমস্যাগুলি গুলি দেখা যায়।

লিভারের সমস্যা

পুষ্টিবিদদের মতে এই ধরনের খাবার লিভারের জন্য ক্ষতিকর। এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে কৃত্রিম রঙ ব্যবহার করা হয়। টেস্ট বাড়ানোর জন্য প্রচুর পরিমাণে রাসায়নিক ব্যবহার করা হয়। যা লিভারের স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর।

রাসায়নিকের ব্যবহার

বিশেষজ্ঞদের দাবি চিপস বা চানাচুরে সাইট্রিক অ্যাসিজ থাকে। এটি একটি বিষাক্ত কেমিক্যাল। কারণ এটি প্রাকৃতিক সাইট্রিক অ্যাসিডের থেকে সম্পূর্ণ আদালা। আর সেই কারণে এটি শরীরের জন্য ক্ষতিকর।

ভাল ব্যাকটেরিয়া নষ্ট করে

এই খাবারগুলিতে এতটাই রায়াসনিক থাকে যা অন্ত্রের ভাল ব্যাকটেরিয়াকে ধ্বংস করে ফেলে। এই খাবারের কেমিক্যাল ইমিউনিটি নষ্ট করে দেয়। এগুলি পাকস্থলী ও মস্তিষ্কেরও ক্ষতি করতে পারে।

অতিরিক্ত নুন

এই জাতীয় খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে নুন দেওয়া হয়। যা ব্লাডপ্রেসার বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। এই খাবারগুলি নিয়মিত খেলে দেহে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে যেতে পারে। দেহে সোডিয়ামের মাত্রা বেড়ে গেলে কিডনির ক্ষতি হয়।

পুষ্টিবিদদের কথায় এজাতীয় খাবার হার্ট, কিডনিের পাশাপাশি মস্কিষ্কেরও ক্ষতি করে। তাই এজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ। খিদে পেলে এজাতীয় খাবার না খেয়ে অন্য কিছু ট্রাই করতে পারেন।