সংক্ষিপ্ত
সবুজ শাকসবজি খেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। জেনে নেওয়া যাক ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাতে থাকা উচিত কোন কোন সবজি।
ডায়বেটিসের কারণে পাত থেকে বাদ পড়েছে মন্ডা-মিঠাই। এই গল্প এখন ঘরে ঘরে। ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে না থাকলেও চরম বিপত্তি ঘটতে পারে, এমনকী প্রাণহানীর আশঙ্কাও থেকে যায়। তাই ডায়বেটিকদের প্রয়োজন প্রথমেই নিজের স্বাস্থ্যের খেয়াল রাখা। মূলত উচ্চ ফাইবার সমৃদ্ধ শাকসবজি খেলে নিয়ন্ত্রণে থাকে রক্তের শর্করা। সবুজ শাকসবজি খেলে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার পাওয়া যায়। জেনে নেওয়া যাক ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণে রাখতে পাতে থাকা উচিত কোন কোন সবজি।
তালিকায় প্রথমেই নাম আসে ব্রকলির। ব্রকলি স্বাস্থ্যের পক্ষে অত্যন্ত উপকারী। ব্রকলি পুষ্টিগুণে ভরপুর একটি সবজি। ফাইবার ছাড়াও এতে রয়েছে। ভিটামিন সি, এ, ই, কে এবং বি ১২ রয়েছে। এছাড়া কম গ্লাইসেমিক সূচক-সহ রক্তে শর্করা কমাতে সহায়ক নানা যৌগও রয়েছে। এর পরেই নাম আসে মটরশুঁটির। মটরশুঁটিতে উপস্থিত উপাদানগুলির কারণে এটি অত্যন্ত উপকারী একটি সবজি। এতে প্রচুর ভিটামিন, মিনারেল এবং প্রোটিনও পাওয়া যায়। ডায়েবেটিসের জন্য উপকারী গাজরও। এতে প্রচুর পরিমানে ফাইবার ও ভিটামিন সি এবং এও পাওয়া যায়। করলা ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য মহৌষধী। নিয়মিত করলা খাওয়া রক্তে শর্করার মাত্রা কমাতে খুবই কার্যকরী। এর রসও খুব উপযোগী।
অন্যদিকে দীর্ঘদিন ডায়বেটিসে ভোগার কারণে চিরতরে বাদ হতে পারে কাঠাল খাওয়া। তবে কি ডায়বেটিস রোগীদের ক্ষেত্রে একেবারে বন্ধ কাঠাল খাওয়া? ডায়াবেটিস হল একটি দীর্ঘস্থায়ী অবস্থা যা শরীর অগ্ন্যাশয় যে ইনসুলিন তৈরি করে তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করতে পারে না বা যথেষ্ট পরিমাণে তৈরি করে না। ইনসুলিন নামক একটি হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। বর্তমানে, ডায়াবেটিস একটি খুব সাধারণ চিকিৎসা সমস্যা। উচ্চ চিনির মাত্রা যাদের ডায়াবেটিস আছে তা জানার পর খেতে দ্বিধাবোধ করে। কি খাবেন, কতটা খাবেন, কোন খাবার থেকে দূরে থাকবেন সহ অনেক প্রশ্ন মাথায় আসে।
ডায়াবেটিস রোগীদের প্রথমে স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করতে হবে। ডায়াবেটিস রোগীরা ফল কাঁঠাল এবং আম পছন্দ করে। কিন্তু এই ফলগুলি কি ডায়াবেটিস রোগীদের খাওয়ার জন্য নিরাপদ? প্রখ্যাত ডায়েটেসিয়ান ডাঃ ললিতা আপ্পুকুত্তন এই বিষয় জানিয়েছেন,'ডায়াবেটিস রোগীদের সুবিধার জন্য, কাঁঠাল এবং আম এড়িয়ে চলা উচিত। কারণ এই খাবারগুলো যখন পাকা হয়, তখন উভয়েই উচ্চ গ্লাইসেমিক ইনডেক্স অর্জন করে। এগুলো খাওয়ার ফলে ক্যালোরির পরিমাণ বেশি হতে পারে। এটি সবুজ হলেও একই থাকে। যখন পাকা হয়, কাঁঠালের প্রাথমিক ১৫০ ক্যালোরির বিপরীতে প্রতি ১০০ গ্রাম প্রতি ১৬০ ক্যালোরি থাকে। প্রোটিন এবং ফাইবার উভয়ই সমান পরিমাণে থাকে। এর মানে হল যে ডায়াবেটিস রোগীরা যখন কাঁঠাল খান, তাদের রক্তে শর্করার মাত্রা দ্রুত বৃদ্ধি পায়।'