সংক্ষিপ্ত

কয়েকটি খাবার রয়েছে যা নিয়মিত খেলে শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ দ্রুত ঘটে। তারা ফোকাস হয়, মনে রাখার ক্ষমতা বাড়াতে পারে। রইল সেই সেরা সাতটি খাবারের তালিকা।

 

শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশের জন্য প্রয়োজন হল খাবার। কয়েকটি খাবার রয়েছে যা নিয়মিত খেলে শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশ দ্রুত ঘটে। তারা ফোকাস হয়, মনে রাখার ক্ষমতা বাড়াতে পারে। রইল সেই সেরা সাতটি খাবারের তালিকা।

১. ডিম

ডিম হল একটি সুষম খাদ্য। এতে প্রচুর প্রোটিন থাকে। শিশুদের পুষ্টির জন্য ডিম অত্যান্ত উপকারী। সকালের খাবার থেকে রাতের খাবার যে কোনও সময়ই আপনি আপনার সন্তানকে ডিম পরিবেশন করতে পারেন।

২। ঘি ও দই

ঘিতেও প্রচুর পরিমাণে প্রোটিন রয়েছে। যা মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। চর্বি যুক্তি ঘি মস্তিষ্কের গঠনে উপকারী ভূমিকা গ্রহণ করে। ভাতের পাতে ঘি দিতে পারেন আপনার সন্তানকে। চাইলে আপনি রুটি বা তরকারিতেও ঘি দিয়ে পারেন। যে কোনও সন্তান আপনার সন্তানে একটি বাটিতে করে দই দিতে পারে। এগুলি মস্তিষ্কের রক্তপ্রবাহে সাহায্য করে।

৩. শাক ও সবজি

ফোলেট ও ভিটামিনে পরিপূর্ণ হল পালং শাক। অন্যান্য শাক ও সবজিতেও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন থাকে। যা শিশুর মস্তিষ্ক গঠনে সাহায্য করে। এই খাবারগুলি সুপার ফুট। অ্যান্টি অক্সিডেন্টে ভরপুর। রান্না করা শাকসবজি নিয়মিত শিশুকে দিন। চাইলে সালাদ হিসেবেও পরিবেশন করতে পারেন। নিয়মিত গাজর খাওয়াতে পারেন।

৪. মাছ

মাছ ভিটামিন ডি এবং ওমেগা ৩ এর দুর্দান্ত উৎস হল মাছ । মস্তিষ্কের গঠনে উপকারী। মানসিক দক্ষতা ও স্মৃতি শক্তি বজায় রাখতে সাহায্য করে। আমরা বাঙালিরা সাধারণত ভাতের সঙ্গেই মাছ খাই। সন্তান যদি মাছ খেতে না চায় তাহলে তাদের কড়া করে মাছ ভেজে খাওয়াতে পারেন।

৫. বাদাম ও দানা শস্য

প্রোটিন, প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এবং খনিজ পদার্থ, বাদাম এবং বীজ মেজাজ বাড়িয়ে তুলতে পারে এবং আপনার স্নায়ুতন্ত্রকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারে। দুধের সঙ্গে বাদাম পরিশেবন করতে পারে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। নিয়মিত দানা শস্য ছোলা বা মটর দিতে পারেন। সিদ্ধ করে বা চাট তৈরি করে।

৬. ওটমিল

প্রোটিন- এবং ফাইবার সমৃদ্ধ ওটমিল হার্ট এবং মস্তিষ্কের ধমনী পরিষ্কার রাখতে সাহায্য করে। একটি সমীক্ষায়, যে বাচ্চারা মিষ্টি ওটমিল তাদের স্মৃতি শক্তি ছোট থেকেই প্রখর হয়। জলখাবারে ওটমিল দিতে পারেন।

৭. আপেল

আপনার শিশুকে নিয়মিত আপেল পরিবেশন করতে পারেন। এই ফলটি মস্তিষ্কের গঠনে সাহায্য করে। টিফিনে আপেল দিতেই পারেন। জলখাবারের সময়ও দিতে পারেন।