সংক্ষিপ্ত
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, অতিরিক্ত ব্যায়াম শুরু করার আগে সকল মানুষের কার্ডিও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। কীভাবে ব্যায়াম শুরু করা উচিত এবং দিনে কতক্ষণ ব্যায়াম করা যথেষ্ট, জেনে নিন।
ওজন বেড়ে যাওয়া টের পেলে অনেকেই হঠাৎ করে ওজন কমানোর জন্য হুড়মুড় করে ডায়েট এবং প্রচুর কায়িক পরিশ্রম করা শুরু করে দেন। যেসমস্ত ব্যক্তির হৃদযন্ত্রে মেদ জমার সম্ভাবনা আছে, কিন্তু তাঁরা সেই কথা জানেন না এবং সচেতন নন, তাঁরা হঠাৎ করে কার্ডিয়াক অ্যারেস্টের শিকার হন। সেজন্য, রোগা হওয়ার উদ্দেশ্যে তাড়াহুড়ো করতে গেলেই ঘটতে পারে মারাত্মক বিপদ!
চিকিৎসকদের পরামর্শ অনুযায়ী, অতিরিক্ত ব্যায়াম শুরু করার আগে সকল মানুষের কার্ডিও ডাক্তারের সাথে পরামর্শ করা গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও, ব্যায়াম শুরু করার আগে ইসিজি করান, যাতে স্পষ্ট জানতে পারেন, আপনার হৃদস্পন্দন স্বাভাবিক রয়েছে কিনা। এছাড়াও, ভারী ব্যায়াম করার আগে শরীরকে প্রস্তুত করা উচিত। জিমে গিয়ে ভারী ওজন তোলার চেয়ে হাঁটা (প্রথমে ধীরে ধীরে এবং পরে দ্রুত গতিতে), এরপর শরীরকে স্ট্রেচিং করা গুরুত্বপূর্ণ।
যাঁদের পরিবারে পূর্বসূরিদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাক হওয়ার ইতিহাস আছে, সেইসব মানুষদের হৃদযন্ত্রের আরও যত্ন নেওয়া উচিত। এর পাশাপাশি দীর্ঘস্থায়ী কিডনির রোগ, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস এবং পেরিফেরাল আর্টারি ডিজিজে আক্রান্ত রোগীদেরও অতিরিক্ত ঝুঁকি থাকে। এই ধরনের ব্যক্তিরা রুটিন চেকআপে শারীরিক পরীক্ষা, রক্ত পরীক্ষা, ইসিজি, করোনারি এনজিওগ্রাফি, সিটি স্ক্যান, ব্যায়াম স্ট্রেস টেস্ট এবং এমআরআই করতে ভুলবেন না।
রোগা হওয়ার জন্য ব্যায়াম করবেন কীভাবে?
১) পরিমিত অ্যারোবিক ব্যায়াম (Aerobic Exercise) হার্টের জন্য ভালো।
২) সপ্তাহে ৪ থেকে ৫ দিন ব্যায়াম করুন এবং দুই দিন বিশ্রাম করুন।
৩) ব্যায়ামের সময় যদি বুকে ব্যথা এবং কাঁধে ব্যথা অনুভব করেন, তাহলে অবশ্যই থেমে যান। বিশ্রাম নিন।
৪) পেশি গঠন বা দ্রুত রোগা হওয়ার জন্য কোনও বিশেষ ওষুধ খাবেন না।
৫) এক বা দুই ঘণ্টা ব্যায়াম করার দরকার নেই, শরীরের ঘাম ঝরানোর জন্য মাত্র আধ ঘণ্টাই যথেষ্ট।