শুধু ঠান্ডা লাগা নয়, শরীরের এই মারাত্মক ক্ষতিগুলো করতে পারে একটা আইসক্রিম
- FB
- TW
- Linkdin
আইসক্রিম সবারই প্রিয়। শিশু হোক বা বৃদ্ধ, আইসক্রিমের নামে সবার মুখেই জল চলে আসে। গ্রীষ্ম হোক বা শীত, আইসক্রিম খাওয়ার কোনো ঋতু নেই বলে অনেকে বিশ্বাস করলেও গ্রীষ্মের মৌসুমে আইসক্রিমের চাহিদা অনেক বেড়ে যায়।
আইসক্রিম আপনাকে গরম গ্রীষ্মে ঠান্ডা অনুভব করায়, তবে এটি বেশি পরিমাণে খেলে ক্ষতি ছাড়া লাভ কিছু হবে না। বেশি আইসক্রিম খাওয়া আপনার শরীরে অনেক সমস্যার জন্ম দিতে পারে।
আমরা অনেকেই জানি যে দুধ, চকলেট, অনেক ধরনের ড্রাই ফ্রুটস, চেরি ইত্যাদি আইসক্রিমে ব্যবহার করা হয়, কিন্তু এগুলো যখন অতিরিক্ত পরিমাণে খাওয়া হয়, ধীরে ধীরে এগুলো আপনার শরীরের ক্ষতি করতে শুরু করে, এই ক্ষতিগুলোও বেশ মারাত্মক হতে পারে।
আসলে, আইসক্রিমে উপস্থিত বিভিন্ন ফ্লেভার, দুধ, চকলেট, চেরি এবং ড্রাই ফ্রুটস অতিরিক্ত সেবন করা স্বাস্থ্যের উপর যেমন খারাপ প্রভাব ফেলে, তেমনি এটি আপনার শরীরের উপরও নেতিবাচক প্রভাব ফেলে।
আপনি যদি বেশি আইসক্রিম খেতে অভ্যস্ত হন, তাহলে আপনার ওজনও খুব দ্রুত বাড়তে পারে। শুধু তাই নয়, এটি আপনার পেটের চর্বিও অনেকাংশে বাড়িয়ে দিতে পারে এবং আপনি যদি সময়মতো তা এড়াতে না পারেন, তাহলে আপনিও স্থূলতার শিকার হতে পারেন
আপনি যদি দিনে ২-৩ বার আইসক্রিম খান তবে এর অর্থ হল আপনি এক হাজারেরও বেশি ক্যালোরি গ্রহণ করছেন এবং কত ধরনের রোগকে আমন্ত্রণ জানানো হয় তাও আপনি ভালো করেই জানেন।
প্রতিদিন আইসক্রিম খেলে শরীরে ক্যালরির পরিমাণ বাড়বে, যা আপনার জন্য স্থূলতার পাশাপাশি অনেক শারীরিক সমস্যার কারণ হিসেবেও প্রমাণিত হবে।
আইসক্রিমে স্যাচুরেটেড ফ্যাট পাওয়া যায়। এটি শরীরের ট্রাইগ্লিসারাইড এবং কোলেস্টেরলের মাত্রা বাড়ায়। এখানেই স্থূলতার সমস্যা বাড়ে। সেই সঙ্গে কোলেস্টেরল বেড়ে যাওয়ায় হৃদরোগের আশঙ্কা থাকে।
কেউ যদি আগে থেকেই উচ্চ রক্তচাপের রোগী হয়ে থাকেন, তাহলে তার সমস্যা বহুগুণ বেড়ে যেতে পারে। ফলে বিশেষজ্ঞদের মত উচ্চরক্তচাপের রোগীদের কখনই একাধিক আইসক্রিম খাওয়া উচিত নয়।
যাদের ডায়াবেটিক মাত্রা সীমান্তে রয়েছে বা ডায়াবেটিস আছে। তাদের আইসক্রিম খাওয়া উচিত নয়। যার জেনেটিক ডিসঅর্ডার তৈরি হয়। তাদেরও আইসক্রিম খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।