সংক্ষিপ্ত
এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর পরিমাণ খুবই কম রেকর্ড করা হয়েছে।
করোনা মহামারী শুরু হওয়ার পর থেকে বিজ্ঞানীরা এই বিষয় নিয়ে নিরন্তর গবেষণা করে চলেছেন। সম্প্রতি একটি নতুন গবেষণার তথ্য প্রকাশ্যে এসেছে যাতে দাবি করা হয়েছে যে করোনা ভাইরাসের ফলে পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতা উপর খুব খারাপ প্রভাব পড়ছে। এই গবেষণার মতে, হালকা উপসর্গের পরেও করোনা ভাইরাস পুরুষদের প্রজনন ক্ষমতাকে খারাপভাবে প্রভাবিত করছে।
গবেষকরা এই গবেষণা থেকে জানতে চেয়েছিলেন যে করোনা থেকে সেরে ওঠার পর পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা আদৌ কমেছে কি না। এর সঙ্গে এই সংক্রমণটি দীর্ঘদিন পর পুরুষদের শুক্রানু উর্বরতার উপর কোনও খারাপ প্রভাব ফেলে কি না। এই গবেষণায় দেখা গিয়েছে, করোনা ভাইরাস থেকে সুস্থ হওয়া পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর পরিমাণ খুবই কম রেকর্ড করা হয়েছে।
শুক্রাণুর সংখ্যা কম হওয়ার কারণ হল প্রোটিনের পরিবর্তন যা শুক্রাণু বাড়ায়। প্রোটিনের পরিবর্তনের কারণে পুরুষদের মধ্যে শুক্রাণুর পরিমাণ কম পাওয়া গিয়েছে এই গবেষণায় এই তথ্য প্রকাশ্যে আসে। তবে এখনও এই বিষয় নিয়ে বিস্তারিত গবেষণা চালাবেন গবেষকরা।
আইআইটি-বম্বে-এর করা গবেষণাটি 'ACS Omega' নামের একটি ম্যাগাজিনে প্রকাশিত হয়েছে। আইআইটি-বম্বে-এর গবেষকদের পাশাপাশি জসলোক হাসপাতালের গবেষকরাও এই গবেষণায় যুক্ত ছিলেন। এই গবেষণায়, কয়েকদিন আগে করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা পুরুষদের শুক্রাণুর সংখ্যা খতিয়ে দেখা হয়েছে।
আরও পডুন- ডিম-মাংসের প্রয়োজন হবে না, এই সবজিগুলি থেকেও মিলবে সম পরিমান ভিটামিন বি
আরও পড়ুন- পায়ের এই ৩ লক্ষণ জানান দেয় যে আপনি ডায়বেটিক কি না, জেনে নিন এই লক্ষণগুলি
আরও পড়ুন- বোন ডেনসিটি উন্নত রাখতে শুধু দুধ নয়, এই খাদ্যগুলিও ক্যালসিয়ামের পাওয়ার হাউস
এটি লক্ষণীয় যে আইআইটি-বম্বে তাদের গবেষণায় দাবি করেছে যে, করোনা ভাইরাসের শিকার হওয়ার পরে এবং হালকা লক্ষণ থাকার পরেও, ভাইরাসটি পুরুষদের দেহে তৈরি প্রোটিনের উপর খুব খারাপ প্রভাব ফেলে যা প্রজননের জন্য প্রয়োজনীয়। এর কারণে ভবিষ্যতে সন্তান ধারণে অনেককেই সমস্যায় পড়তে হতে পারে।
গবেষকরা প্রথমে ১০ জন স্বাস্থ্যবান পুরুষের শুক্রাণুর পরিমাণ পরীক্ষা করেন। এর পরে, সদ্য করোনা থেকে সুস্থ হয়ে ওঠা এমন ১৭ জন পুরুষের তদন্ত করা হয়েছিল। এই ১৭ জন পুরুষের মধ্যে শুক্রাণু তৈরি করে এমন প্রোটিনের পরিমাণ কম পাওয়া গিয়েছে। এই সমস্ত পুরুষদের বয়স ২০ থেকে ৪৫ বছরের মধ্যে। এটি লক্ষণীয় যে এই ১৭ জন পুরুষের আগে কোনও প্রজনন সমস্যা ছিল না।