সংক্ষিপ্ত

এখনও অনেকের বাড়িতেই হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। জেনে নিন এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন ১০টি ওষুধ সবচেয়ে জনপ্রিয়? সেই ১০টি ওষুধ অবশ্যই বাড়িতে মজুত রাখা উচিত।

আজও ভারতে এমন অনেক মানুষ আছে যাদের হোমিওপ্যাথি চিকিৎসায় পূর্ণ আস্থা রয়েছে। এবং তারা বিশ্বাস করে যে এই ওষুধটি রোগকে মূল থেকে নিরাময় করতে পারে এবং তাও কোনও বিপজ্জনক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছাড়াই। তাই এখনও অনেকের বাড়িতেই হোমিওপ্যাথির চিকিৎসা পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়। জেনে নিন এই চিকিৎসা পদ্ধতিতে কোন ১০টি ওষুধ সবচেয়ে জনপ্রিয়? সেই ১০টি ওষুধ অবশ্যই বাড়িতে মজুত রাখা উচিত।

অ্যাকোনাইট : জয়েন্টের ব্যথা, ঠান্ডা লাগার মতো সমস্যা কমাতে এটি কাজে লাগে। এছাড়াও ক্ষত তাড়াতাড়ি শুকোতেও এটি দেন হোমিয়োপ্যাথির চিকিৎসকরা।

রাস টক্স : আরও একটি অতি পরিচিত ওষুধ। বাতের ব্যথা, সাইটিকার ব্যথা, ফ্লু, পেশির ব্যথায় অনেকেই এই ওষুধটি খান। অতিরিক্ত পরিশ্রমের কারণে গায়ে হাতে পায়ে ব্যথা হলেও এই ওষুধটি দেন চিকিৎসকরা।

ম্যাগনেসিয়া ফস : এক সময়ে মহিলাদের মধ্যেও খুব পরিচিত ওষুধ ছিল এটি। মূলত ঋতুকালীন সমস্যা, পেটের ব্যথার ওষুধ হিসাবে মহিলাদের এই ওষুধটি খেতে দিতেন চিকিৎসকরা।

নাক্স ভোমিকা : পেটের গন্ডগোলের অতি পরিচিত ওষুধ। এটি অবসাদ, খিদে কমে যাওয়ার মতো সমস্যাও সামলাতে কাজে লাগে। এছাড়াও মদ্যপানের অভ্যাস কমাতেও এটি ব্যবহার করা হয়।

ক্যালি ফস : স্নায়ুর ব্যথা, পেশির ব্যথা থেকে ঘুম না আসা— নানা কাজের জন্য এই ওষুধটি খাওয়ার রেওয়াজ রয়েছে। অনেকে কোমরের ব্যথায় ভুগলেও চিকিৎসরা এটি খেতে দেন।

হাইপেরিকাম : এটিও খুব জনপ্রিয় একটি হোমিোয়প্যাথি ওষুধ। স্নায়ুর ব্যথা কমাতেই এটি ব্যবহার করা হয়। তবে আঙুল, পায়ের পাতার মতো জায়গার নার্ভের ব্যথার জন্যই এটি মূলত দেন হোমিয়োপ্যাথি চিকিৎসকরা।

ক্যানথারিস : এক সময়ে সকলের বাড়িতে রান্নাঘরে এই ওষুধ থাকত। এটি ক্রিম আকারে বিক্রি হত। ছোটখাটো পুড়ে যাওয়া, ছ্যাঁকা লাগা বা ফোসকার ওষুধ হিসাবেই এটি পরিচিত।

আরনিকা : সাধারণ ব্যথা কমাতে এটি ব্যবহার করা হয়। সাধারণত লিকুইড বা বড়ির আকারে এটি খাওয়া হয়। এটি হোমিয়োপ্যাথির সবচেয়ে পরিচিত ওষুধ। এক সময়ে ঘরে ঘরে এই ওষুধটি থাকত।

আরনিকা টপিক্যাল : একই ধরনের কাজে এই ওষুধটিও ব্যবহার করা হয়। কিন্তু আগের ওষুধটি খাওয়ার। আর এটি সাধারণত ক্রিম আকারে ব্যবহার করা হয় চোটআঘাতের জায়গায়।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।