সংক্ষিপ্ত

কোষ্ঠকাঠিন্যে সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ,দ্রুত হজম হয় এমন খাবার খাওয়া জরুরি। অতিরিক্ত রিচ খাওয়ার খাওয়া একদমই ঠিক নয়। প্রয়জনীয় জল পান জরুরি।

 

শীতকাল মানে অনেকের কাছেই চিন্তার মরশুম। এই সময়টা মলত্যাগের সমস্যা দেখা দেয়। যার থেকে পেটের সমস্য়া হতে পারে। আর এই সমস্যাটি অনেক সময়ই দীর্ঘস্থায়ী হতে পারে। যাদের কোষ্ঠ্যকাঠিন্য রয়েছে তাদের অনেকেই মনে করেন ঠান্ডার মরশুম বা ঠান্ডা জল খাওয়ার জন্য এজাতীয় সমস্যা তৈরি হয়। অনেকে আবার মনে করেন ঠান্ডা আবহাওয়ায় বিপাকের সমস্যা দেখা দেয় সেই কারণেই এজাতীয় সমস্যা তৈরি হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের কারণঃ

কোষ্ঠকাঠিন্য একটি সাধারণ অন্ত্রের সমস্যা যা সাধারণত "অস্বাস্থ্যকর এবং অসময়ে খাদ্যাভ্যাস" এর ফলে হয় যা পরিপাকতন্ত্রে মল চলাচলকে ধীর করে দেয়। অতিরিক্ত জল খেলে এজাতীয় সমস্যার সমাধান হতে পারে। বিশেষজ্ঞদের মতে শীতকালে কোষ্ঠকাঠিন্য প্রধানত ডিহাইড্রেশনের কারণে হয়। অনেক সময় অতিরিক্ত চা বা কফি খেলে হয়। শীতকালে অতিরিক্ত ভাজা ও জাঙ্ক ফুড খাওয়া হয়। সেই কারণেই এজাতীয় সমস্যা তৈরি হতে পারে বলেও মনে করে বিশেজ্ঞরা। তবে অধিকাংশ বিশেষজ্ঞ মনে করেন তাপমাত্রা কম থাকার জন্য শরীরের বিপাকক্রিয়া ধীর হয়ে যায়। যার ফলে অন্ত্রের ক্রিয়ার গতি কমে আসে। আর শীতকাল ঠান্ডার কারণে জল তৃষ্ণ কম পায়। আর সেই কারণে জল খাওয়ার পরিমাণ অনেকটাই কম থাকে। সেইজন্যই কোষ্ঠ্যকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষজ্ঞদের কথায় শীতকালে কষ্ঠকাঠিন্যের অন্য একটি কারণ হল এই সময়টা হঠাৎ করেই খিদে বেড়ে যায়। অতিরিক্ত খাবার কারণে হজম কমে যায়।

কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির উপায়ঃ

সঠিক পুষ্টিকর খাবার খাওয়া, স্বাস্থ্যকর খাদ্য গ্রহণ,দ্রুত হজম হয় এমন খাবার খাওয়া জরুরি। অতিরিক্ত রিচ খাওয়ার খাওয়া একদমই ঠিক নয়। প্রয়জনীয় জল পান জরুরি। চা বা কপি কম খেতে সমস্যা অনেকটাই কমে যায়। নিয়মিত হাঁটার প্রয়োজন রয়েছে।

কোষ্ঠকাঠিন্যের পার্শ্বক্রিয়া-

এই সমস্যার জন্য অনেকের ব্রণ হতেপপারে। পেটের সমস্যা দেখা দেয়। ওজন কমে যেতে পারে। মাথা ব্যাথা করে। শরীরে অস্বস্তি সর্বদা হয়।

কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যার সমাধান-

একজন সুস্থ প্রাপ্ত বয়স্কের শীতকালে প্রায় তিন লিটার জল পান করা উচিৎ। প্রয়োজন সকাল আর সন্ধ্যায় গরম জল পান করতে হবে। তাতে হমজের সমস্যার সমাধান হয়। আঙ্গুর, পেয়ারা, কমলালেবু, পেঁপে, কলা, তরমুজ, জাতীয় ফল খেতে হবে। খাবারের ফাইবারের পরিমাণ বাড়াতে হবে। নিয়মিত মলত্যাগ করতে হবে। খাবার চিবিয়ে খেতে হবে। প্রতিদিন পাতে শাক আর স্যালাড রাখুন। এগুলির পুষ্ঠিগুণ অনেক বেশি। জিরা, গোলমরিচ মৌরি মশলা হিসেবে রান্নায় ব্যবহার করুন। জাঙ্কফুড একদম এড়িয়ে চলুন। মদ্যপান থেকে কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা দেখা দিতে পারে।