সংক্ষিপ্ত

পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ। যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্রম মোকাবিলায় পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান।

 

রান্নাঘরের প্রয়োজনীয় উপকরণগুলির মধ্যে একটি হল কাঁচা পেঁয়াজ। রান্নার স্বাদ বাড়াতে পেঁয়াজের জুড়ি মেলা ভার। পেঁয়াজ রান্না করার পাশাপাশি কাঁচাও খাওয়া হয়। স্যালাডে অনেকেই পেঁয়াজ খায়। অনেকে আবার ভাত বা রুটির সঙ্গেও পেঁয়াজ খায়। তবে গরমকালে পেঁয়াজ খাওয়া কি আদৌ স্বাস্থকর- তাই নিয়ে রয়েছে প্রশ্ন। তবে বিশেষজ্ঞদের কথায় গরমকালে রান্না করা পেঁয়াজের থেকে কাঁচা পেঁয়াজ খাওয়া স্বাস্থ্যকর। বিশেষজ্ঞদের পরামর্শ গরমকালে রান্না করা পেঁয়াজ খেলেও বেশিক্ষণ তা আগুনে না রাখাই শ্রেয়। অত্যাধিক ভাজা পেঁয়াজ শরীর গরম করে দেয়। আর কাঁচা পেঁয়াজ শরীর ঠান্ডা রাখতে জরুরি।

বিশেষজ্ঞদের কথায় পেঁয়াজ একটি স্বাস্থ্যকর খাদ্য উপকরণ। এটি ক্যান্সারের ঝুঁকি কমায়। পেঁয়াজ হজম শক্তি বাড়াতে সাহায্য করে। গরমকালে হজম সংক্রান্ত সমস্যা থেকে যায়। আর সেই কারণে এই সময় কাঁচা পেঁয়াজ খেতেই পারে। তবে দিনে ১০০ থেকে ১৫০ গ্রামের বেশি পেঁয়াজ কখনই খাবেন না।

পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিবায়োটিক রয়েছে। এতে রয়েছে অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল গুণ। যা রোগ প্রতিরোধের ক্ষমতা বাড়ায়। সংক্রম মোকাবিলায় পেঁয়াজ গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। পেঁয়াজে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি ঠান্ডালাগা, জ্বর, গলাব্যাথার সমস্যা সমাধানে জরুরি।

কাঁচা পেঁয়াজ বা রান্না করা পেঁয়াজ ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। ওজন কমাতে পেঁয়াজের জুড়ি মেলা ভার। পেঁয়াজ রক্তের লিপিড প্রোফাইলের উন্নতির জন্য ভাল হতে পারে। অর্থাৎ এটি কোলেস্টেরল কমাতে সাহায্য করে। প্রায় ১০টি গবেষণায় দেখা গেছে এটি স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী। কিন্তু পেঁয়াজ ট্রাইগ্লিসারাইড কমাতে পারে না।