Mouth Ulcer: মুখে ঘায়ের যন্ত্রণায় জেরবার? ঘরোয়া টোটকাতেই পাবেন উপকার
- FB
- TW
- Linkdin
মুখে ঘা-এর সমস্যায় ছোট থেকে বড় কমবেশি সকলেই ভোগেন। প্রথমে মুখে একটা ফুসকুড়ির মতো হয়। তারপর সেই জায়গাটা লাল হয়ে যায়। এই গোলাকার লাল অংশের ভিতরটায় সাদা হয়ে থাকে। খুব জ্বালা করে।
মুখে ঘায়ের কারণে খাবার খেতে বা কথা বলার সময়ে বেশ বিপাকে পড়তে হয়। দাঁতমাজা কঠিন হয়ে যায়। সামান্য ঘা ভেবে অবহেলা করলেই বিপদ। এই সমস্যা কিন্তু মুখে আলসারের লক্ষণও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মুখের ঘায়ের পিছনে থাকতে পারে অনেক কারণ। কোষ্ঠকাঠিন্য, ডিহাইড্রেশন, হরমোনের সমস্যার কারণে হতে পারে। শরীরে ভিটামিন সি ও ভিটামিন বি, আয়রন, জিঙ্ক, ফোলেটের ঘাটতির কারণেও মুখে ঘা হতে পারে।
মুখের ঘা বা ফোস্কা খুব বিপজ্জনক কিছু না হলে, তা ঘরোয়া উপায়েই সামলানো সম্ভব। জেনে নিন ৬টি ঘরোয়া পদ্ধতি, যেগুলি মুখের ঘা বা আলসার তাড়াতাড়ি সারিয়ে দিতে পারে।
ঈষদুষ্ণ জলে সামান্য নুন মিশিয়ে কুলকুচি করুন। এতে মুখের ঘা দ্রুত নিরাময় হয়। দিনে তিন থেকে চার বার করলে ব্যথা ও ঘা দুই-ই কমে আসবে। লবণে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ, যা দূষিত এলাকা থেকে জীবাণু নির্মূল করে।
কালো চায়ে থাকা ট্যানিন দ্রুত মুখের ঘা নিরাময় করে। এক কাপ গরম জলে টি ব্যাগটি ভিজিয়ে রাখুন। খানিকক্ষণ পর জল এবং টি ব্যাগ ঠান্ডা হয়ে গেলে, ঘা-এর উপর টি ব্যাগটি লাগিয়ে রাখুন।
ঘা সারাতে বেকিং সোডাও দারুণ উপকারী। এক কাপ জলে এক চা চামচ বেকিং সোডা মিশিয়ে কুলকুচি করতে পারে। এ ছাড়া, বেকিং সোডার সঙ্গে সামান্য জল মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করে নিতে নিন। সেই পেস্ট ক্ষতস্থানে লাগিয়ে রাখলেও বেশ উপকার পাবেন।
যে কোনও ঘায়ের মোক্ষম দাওয়াই হতে পারে হলুদ। কাঁচা হলুদ বেটে মুখে যে জায়গায় ঘা হয়েছে, সেই স্থানে লাগিয়ে রাখুন কিছুক্ষণ। এ ভাবে কিছু দিন ব্যবহার করলেই ঘায়ের জ্বালা-যন্ত্রণা কমবে।
মধুর মধ্যে রয়েছে অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণ। তাই ঘা থাকলে সেই সমস্যা সমাধানে মধু হতে পারে আপনার প্রধান হাতিয়ার। মুখে যেখানে ঘা হয়েছে, সেই জায়গায় সামান্য মধু লাগিয়ে রাখুন। এতে আরাম পাবেন। সারা দিনে কয়েক ঘণ্টা অন্তর অন্তর মধু লাগালেই সুফল পাবেন।
ব্যথা ও ঘা দ্রুত নিরাময় করতে লবঙ্গ চিবোতে পারেন। লবঙ্গের অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল এবং ব্যথানাশক গুণ ঘা এবং ব্যথা দুই-ই কমাতে সাহায্য করবে।