সংক্ষিপ্ত
বারবার বমি, পেটে ব্যাথা, অণ্ডকোষে ব্যাথা হয়। তিন দিন টানা ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি কোনও কাজ না হয় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে হবে।
সম্প্রতি দেশের বেশ কয়েকটি রাজ্যে বাড়ছে মাম্পসের প্রাদুর্ভাব। কোভিড -১৯ মহামারির পরবর্তী যুগে এই প্রথম মাম্পস দ্রুত ছড়াচ্ছে। এটি একটি ভাইরাল রোগ। দ্রুত সংক্রমিত করতে পারে। লাল গ্রন্থিগুলিকে প্রভাবিক করে। যার ফলে মুখ ও ঘাড় ফুলে যায়। এটি মেনিনজাইটিস, বধিরতা এবং অণ্ডকোষ বা ডিম্বাশয়ের প্রদাহের মতো অন্যান্য গুরুতর জটিলতারও কারণ হতে পারে। প্রাদুর্ভাবের কারণ নির্দিষ্ট সম্প্রদায়কে কম টিকা দেওয়ার কারণে দ্রুত ছড়ায়। বিশেষজ্ঞদের কথায় এই রোগটিকে অনেকেই গুরুত্ব দেয় না। আর সেই রোগ দ্রুত ছড়ায়। বিশেষজ্ঞদের কথায় রোগটি ছোঁয়াচে, নিরাপদ দূরত্ব না মানা আর টিকা না নেওয়ার জন্য এজাতীয় রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।
রোগের বোঝা
মাম্পস একটি প্রচলিত ভাইরাল রোগ। এটির ৯০ শতাংশই রিপোর্ট করা হয় না। আক্রান্তদের শারীরিক সমস্যা দেখা দেয়। কিন্তু অনেকেই এই রোগকে গুরুত্ব দেয় না। কোভিড পরবর্তী যুগে এই প্রথম মাম্পসের সংক্রমণ দ্রুত ছড়াচ্ছে।
প্রাদুর্ভাবের কারণ-
১. মাম্পসের প্রবণতা ৩-৪ বছর অন্তর ঘটে। এটি চক্রাকারে ঘোরে।
২. জাতীয় টিকাদান সময়সূচীতে মাম্পসের ভ্যাকসিনের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
৩. কোভিডের কারণে ফলো-আপ টিকা কর্মসূচি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
উদ্বেগ
মাম্পসের কারণে শ্রবণশক্তি কমে যেতে পারে। অন্যদিকে এই রোগের কারণে অনেকের জীবনে বন্ধ্যত্ব আসতে পারে।
মাম্পস সংক্রমণের ৭-১০ দিনের মধ্যেই এই রোগের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে। প্যারামিক্সোভাইরাস থেকেই এই রোগের সূচনা। ১০-১৪ দিনের ইনকিউবেশনের জন্য লাগে। ২-১২ বছর সমস্ত তিন জোড়া লাল গ্রন্থিকে প্রভাবিত করতে পারে।
রোগের বৈশিষ্ট্য
২-৩ দিন ধরে জ্বর থাকে। প্যারোটিভ গ্রন্থি ফুলে যায়। পেটে ব্যাথা হয়। বমিবমি ভাব দেখা যায়। এই রোগের কারণে অগ্ন্যাশয়কেও বিভ্রান্ক করে। মেজাজ খিটখিটে করে দেয়। সংক্রমণের সময় র্যারোটিড ফোলা অবস্থা মাম্পস হিসেবে বিবেচনা করা উচিৎ। তবে অনেক সময়ই এটির জন্য কোনও পরীক্ষা করা হয়নি। এই প্রাদুর্ভাবের কারণে তীব্র পেটের সমস্যা দেখা দিতে পারে। বমি আর জ্বরের উপস্থিতিও লক্ষ্য করা যায়।
বারবার বমি, পেটে ব্যাথা, অণ্ডকোষে ব্যাথা হয়। তিন দিন টানা ওষুধ খাওয়ার পরেও যদি কোনও কাজ না হয় তাহলে হাসপাতালে ভর্তি হতে হতে হবে।
এই রোগের জন্য অ্যান্টিবায়োটিক দেওয়া হয়। ব্যাথার যন্ত্রণাও দেওয়া হয়। তবে এই রোগে আক্রান্তদের হাইড্রেশন জরুরি। রোগের ১০ দিন কোয়ারেন্টাইনের প্রয়োজন রয়েছে। মেনিঙ্গোয়েনসেফালাইটিস বা প্যানক্রিয়াটাইটিসের সমস্যাও দেখা দেয়।