সংক্ষিপ্ত

বিশেষজ্ঞের কথায় শিশুদের যা শিশুদের চারবেলা খাবার বিশেষ করে টিফিন কেমন হচ্ছে তার ওপরই নির্ভর করে শিশুদের স্থূলতা

 

স্থূলতা আমাদের দেশের শিশুদের একটা বড় সমস্যা। শুধু শিশু নয়, কিশোরদের কাছেও এটি একটি বড় সমস্যা। দেশের প্রায় ৩৫ শতাংশ শিশু ও কিশোরই এই সমস্যায় জেরবার। ৪-১২ বছর বয়সীদের মধ্যে স্থূলতা বা ওবিসিটির (Obesity) সমস্যা দেখা যায়। বিশেষজ্ঞদের মতে এই সমস্যা মূলত দায়ী খাদ্যাভ্যাসের জন্য। খাবার আর খাবারের সময়ের সঠিক ব্যবহার না করার জন্য এজাতীয় সমস্যা হয়ে থাকে।

বিশেষজ্ঞের কথায় শিশুদের যা শিশুদের চারবেলা খাবার বিশেষ করে টিফিন কেমন হচ্ছে তার ওপরই নির্ভর করে শিশুদের স্থূলতা। বিশেষজ্ঞদের কথায় অভিভাবকরা শিশুদের চাহিদা মেটাতে আর নিজেদের সময় বাঁচাতে অনেক সময়ই ফাস্টফুডের ওপর নির্ভর করে। আর এজাতীয় খাবার শিশুদের স্বাস্থ্যের জন্য বিশেষ ক্ষতিকারক। কারণ এজাতীয় খাবার শিশুদের পুষ্টিতে ব্যপক ঘাটতি করে। তাই শিশুদের পুষ্টিকর খাবার দেওয়া অত্যান্ত জরুরি।

শিশুদেক সর্বদা প্রোটিন আর ভিটামিন জাতীয় খাবার দেওয়া জরুরি। শিশুদের স্বাস্থ্যকর চর্বিযুক্ত খাবার দিতে হবে। কিন্তু ভাজাভুজি থেকে শিশুদের বিরত রাখাটা জরুরি। শিশুদের চিপস, কোলা, প্যাকেটজাত , প্রক্রিয়াজত খাবার অত্যান্ত ক্ষতিকর। পাশাপাশি ফ্রিজে রাখার বা সংরক্ষিত খাবারও শিশুদের দেবেন না। বিশেষজ্ঞদের কথায় পিজ্জা, পাস্তা এই খাবারগুলিতে প্রচুর পরিমাণে রায়াসনিক দ্রব্য থাকে। শিশুদের প্ল্যাস্টিকের বোতলে কখনই জল খেতে দেবেন না। এটিও স্থূলতার জন্য দায়ী।

শিশুদের জন্য মুরগির মাংস খুব উপকারি। শিশুদের দানা শস্য দিতে পারেন। এটি স্বাস্থ্যকর। পাশাপাশি দই, খিচুড়ি, মটরশুঁটি, গাজর, টমেটো, মূলো, বিটরুট, পেয়ারা, আপেল, পেঁপে, তরমুজ নিয়মিত পাতে দিন। কলা আর শসাও দিতে পারেন। চিনির পরিবর্তে শিশুদের গুড় জাতীয় খাবার বেশি করে খাওয়ান। শিশুদের প্রতিদিন দুধ পান করাতে হবেই হবে। এটি ব্যাধ্যতামূলক। অনেক শিশু রয়েছে যারা দুধ খেতে চায় না। তাই বাবা মা অনেক সময় হেল্থ ড্রিংস দেন। সেটি কিন্তু সর্বদা ভাল নাও হতে পারে। দুধের পাশাপাশি শিশুদের নিয়মিত ডিম জিন। চিনাবাদাম, ছানা, বাদাম এবং পরিমিত পরিমাণে আখরোট খাওয়াও গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণ শর্করা এবং নোনতা খাবারগুলি এড়ানো ভাল।