সংক্ষিপ্ত
কনজিউমার রিপোর্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত আর্সেনিক শরীরে গেলে ত্বক, স্নায়ুতন্ত্র এবং ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর চালে আর্সেনিকের পরিমান থাকে।
সকালের জল-খাবার হিসেবে বেশিরভাগ মানুষেরই প্রথম পছন্দ চিড়ে বা চিঁড়া । এতে প্রচুর পুষ্টি উপাদান থাকায় এটি প্রতিটি মানুষের চাহিদা পূরণ করতে পারে। অন্যদিকে, স্বাস্থ্যের দিক থেকে ভাতকে স্বাস্থ্যকর মনে করা হয় না। কারণ এতে পুষ্টির পরিমাণ বেশি থাকে। কনজিউমার রিপোর্টে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অতিরিক্ত রাসায়নিক শরীরে গেলে ত্বক, স্নায়ুতন্ত্র এবং ফুসফুসের সমস্যা দেখা দিতে পারে। আর চালে রাসায়নিকের পরিমান বেশি থাকে।
কাঁচা চিঁড়া তে চর্বি ও চিনি নেই। সবজি যোগ করে ভাজার পরও এর পুষ্টিগুণের কোনও পরিবর্তন হয় না। হ্যাঁ, তবে তৈরি করার সময় অবশ্যই সঠিক তেল ব্যবহার করতে হবে। ডায়েটিশিয়ান ম্যাক সিং তার একটি ফেসবুক পোস্টে বলেছেন যে ভাত এবং চিঁড়া র তুলনায় চিঁড়া একটি স্বাস্থ্যকর পছন্দ। আসুন জেনে নেই কেন এমন?
ফাইবার সমৃদ্ধ-
চিঁড়া ফাইবার সমৃদ্ধ। ১০০ গ্রাম চিঁড়া তে ২ থেকে ৪ গ্রাম ফাইবার থাকে। যেখানে ১০০ গ্রাম চিঁড়া তে প্রায় ৭০ গ্রাম স্বাস্থ্যকর কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটা চালের মত পালিশ করা হয় না। চিঁড়া খেলে রক্তে শর্করার মাত্রাও নিয়ন্ত্রণে রাখা যায়।
আয়রনের ভালো উৎস
যেহেতু চিঁড়া তে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে, তাই অ্যানিমিয়ায় ভুগছেন এমন ব্যক্তিদের অবশ্যই তাদের খাদ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করতে হবে। কারণ এটি শরীরে রক্তের অভাব দূর করতে পারে। চিঁড়া তে একটু লেবুর রস যোগ করলে আয়রন শোষণ করা সহজ হবে।
হজম করা সহজ
চিঁড়া পেটের জন্য খুবই স্বাস্থ্যকর। এটা হজম করতে কোন অসুবিধা নেই। এতে ক্যালরিও কম, তাই যারা ওজন কমানোর চেষ্টা করছেন তারা চিঁড়া খেতে পারেন।
ভিটামিন এবং খনিজ সমৃদ্ধ
পেঁয়াজ, রসুন, টমেটো এবং মরিচ সহ অনেক সবজি চিঁড়া তে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ কারণেই এগুলো খেলে আপনি একসঙ্গে অনেক পুষ্টি পেতে পারেন। সবুজ মরিচ ও লেবুর মতো সবজি শরীরে ভিটামিন সি-এর অভাব দূর করতে পারে।