ক্যান্সার হওয়ার অন্যতম লক্ষণ নাক ডাকা? বিশেষজ্ঞরা দিচ্ছেন সতর্কবার্তা
নাক ডাকেন যাঁরা, অনেক সময়েই হাসি ঠাট্টার পাত্র হয়ে ওঠেন। কিন্তু বিষয়টা মোটেও হাসির নয়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন যারা নাক ডেকে ঘুমান, তাদের ক্যান্সারে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশ অনেকটাই।
- FB
- TW
- Linkdin
মানুষের নাক ডাকার পিছনে একটি বড় কারণ 'অবসট্রাকটিভ স্লিপ অ্যাপনিয়া' বা 'ওএসএ'। এই সমস্যার জেরে নাকের ভেতর দিয়ে বায়ুপ্রবাহের পথটি রুদ্ধ হয়ে আসে। তাই শব্দ হয় ঘুমের সময়।
প্রথমেই জেনে নিতে হবে, কেন একটা মানুষ নাক ডাকেন। আসলে যখন কেউ ঘুমোন, তখন শ্বাসনালীতে বাধার উৎপত্তি হতে পারে। আর যার জেরে নাক ডাকার মতো সমস্যা তৈরি হয়। এর ফলে সেই মানুষটা ঘুমের সময় সঠিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস গ্রহণ করতে পারে না। এটা এক ধরনের ঘুম সংক্রান্ত রোগ।
বিজ্ঞানীরা চার হাজার ২০০ জন ওএসএ রোগীর উপর এই গবেষণাটি চালান। দেখা যায়, রোগীদের প্রায় অর্ধেকই শেষ পাঁচ বছরের মধ্যে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়েছেন।
কিন্তু কেন হয় এমন? বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, বহু ওএসএ রোগীর মধ্যেই স্থূলতা, ডায়াবেটিসের মতো সমস্যা দেখা যায়। অতি আগে ভাবা হত সেগুলোই ক্যান্সারের আশঙ্কা বাড়ায়।
তবে নতুন পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে, এই সমস্যায় ভোগা মানুষদের মধ্যে রক্তে তুলনামূলক ভাবে অনেক দ্রুত অক্সিজেনের পরিমাণ কমে যায়। বিশেষ করে ঘুমের মধ্যে বেশি দেখা যায় এই সমস্যা।
দীর্ঘমেয়াদি ভিত্তিতে এই অক্সিজেন হ্রাসের সমস্যাই বাড়িয়ে দেয় ক্যান্সারের ঝুঁকি। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে নিশ্চিত হতে আরো গবেষণা প্রয়োজন বলেই মত তাদের।
যে-সব মানুষের দেহের ওজন অতিরিক্ত অথবা যাঁরা ডায়াবেটিসে আক্রান্ত কিংবা ধূমপান ও মদ্যপানে আসক্ত, তাঁদেরই ঝুঁকি সবথেকে বেশি। এই গবেষণা থেকে এ-ও জানা গিয়েছে যে, যাঁদের দেহে তীব্র ওএসএ-র সমস্যা রয়েছে, তাঁদের সাধারণত ক্যানসার থাকে।