শীত পড়তে না পড়তেই বাড়িতে বাড়িতে সর্দি, কাশি, গলাব্যথায় আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।শীত আসার আগেই ঠান্ডায় কাবু সব বয়সিরা। সর্দি-কাশির ঝুঁকি এড়াতে কী করবেন, জানালেন চিকিৎসক।

শুরু শীতের দিন। এই শুরুর কটা দিন সর্দি কাশি হালকা লেগেই থাকবে।শীতের শুরুতে সর্দি-কাশি থেকে বাঁচতে এবং ওষুধ এড়িয়ে চলতে কিছু নিয়ম মেনে চলা জরুরি: পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিন, গরম পানীয় (যেমন লেবু ও মধু ওমেশানো চা), গরম স্যুপ ও পুষ্টিকর খাবার খান, এবং নিজেকে হাইড্রেটেড রাখুন। এছাড়াও, নিয়মিত হাত ধোওয়া এবং সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে দূরে থাকা উচিত।

** প্রাকৃতিক প্রতিকার এবং প্রতিরোধ করবেন কি কি উপায়:

* পর্যাপ্ত বিশ্রাম ও ঘুম: শরীরকে বিশ্রাম দিলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা শক্তিশালী হয় এবং দ্রুত সুস্থ হতে সাহায্য করে।

* হাইড্রেটেড থাকুন: প্রচুর পরিমাণে জল, ভেষজ চা এবং গরম স্যুপ পান করুন। এটি শরীরকে হাইড্রেটেড রাখতে এবং শ্লেষ্মা পাতলা করতে সাহায্য করে।

* গরম পানীয়: গরম জল বা চায়ের সাথে লেবুর রস এবং মধু মিশিয়ে পান করলে গলা ব্যথা এবং কাশি কমতে পারে। গরম স্যুপ (যেমন সবজি বা চিকেন স্যুপ) গলা ও শরীরকে আরাম দেয় এবং মিউকাস কমাতে সাহায্য করে।

* মধু এবং লেবু: মধু একটি প্রাকৃতিক কফ সাপ্রেসেন্ট এবং লেবুর রস ভিটামিন সি-এর উৎস, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

* রসুন: রসুন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টিভাইরাল এবং অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল উপাদান, যা সর্দি-কাশির বিরুদ্ধে কার্যকর।

* লবণাক্ত জল দিয়ে গার্গল: গরম লবণাক্ত জল দিয়ে গার্গল করলে গলার ব্যথা এবং অস্বস্তি কমতে পারে।

* বাষ্প গ্রহণ (Steam Inhalation): গরম জলের বাষ্প নিলে নাক ও গলার পথ পরিষ্কার হয়, যা শ্বাসকষ্ট কমাতে সাহায্য করে।

* খাবার: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ খাবার (যেমন কমলা) খেলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে এবং দ্রুত পুনরুদ্ধারে সাহায্য করে।

** অন্যান্য সতর্কতা

* পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা: নিয়মিত হাত ধোওয়া, বিশেষ করে বাইরে থেকে এসে বা খাবার আগে, সংক্রমণ প্রতিরোধে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

* ভাইরাস ছড়ানো রোধ: হাঁচি বা কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখুন এবং সংক্রামিত ব্যক্তির থেকে কিছু দূরত্ব বজায় রাখুন।

* শুষ্ক বাতাস: শীতকালে বাতাস শুষ্ক হওয়ায় সর্দি-কাশি বাড়ে। তাই ঘরে একটি হিউমিডিফায়ার ব্যবহার করতে পারেন বা ঘরে জল ভর্তি পাত্র রাখতে পারেন, যা বাতাসের আর্দ্রতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।