সংক্ষিপ্ত

একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে শিশুর প্রথম দিকের বছরগুলিতে চিনির পরিমাণ সীমিত রাখলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে।

ডায়াবেটিস এমন এক রোগ যা বিশ্বজুড়ে লক্ষ লক্ষ মানুষকে প্রভাবিত করেছে। এটি এমন একটি রোগ যা শরীরের প্রধান শক্তির উৎস রক্তে উপস্থিত গ্লুকোজ খুব বেড়ে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) অনুমান করে যে ভারতে ৭৭ মিলিয়ন প্রাপ্তবয়স্ক টাইপ ২ ডায়াবেটিসে ভোগেন, এবং প্রায় ২৫ মিলিয়ন এই রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছেন। উদ্বেগজনকভাবে, শিশুদের, বিশেষ করে ১২-১৮ বছর বয়সী কিশোর-কিশোরীদের মধ্যে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের ঘটনা বাড়ছে।

একটি নতুন গবেষণায় দেখা গেছে, গর্ভাবস্থা থেকে শুরু করে শিশুর প্রথম দিকের বছরগুলিতে চিনির পরিমাণ সীমিত রাখলে ভবিষ্যতে ডায়াবেটিস এবং উচ্চ রক্তচাপের ঝুঁকি কমে। গবেষণায় শিশুর জীবনের প্রথম ১,০০০ দিনের পুষ্টির গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে—বিশেজ্ঞরা বলছেন এটি এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ সময় যা মায়ের পুষ্টি থেকে শুরু হয়। 

দ্য গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদন অনুসারে, বিজ্ঞানীরা জানিয়েছেন যে এই সময় প্রস্তাবিত ডায়েট অনুযায়ী চিনি খাওয়া সীমিত রাখলে টাইপ ২ ডায়াবেটিসের হার ৩৫% এবং উচ্চ রক্তচাপের হার ২০% কমে। গুরুত্বপূর্ণভাবে, যাদের চিনি খাওয়ার পরিমাণ কম ছিল, তারা ভবিষত্যে জটিল রোগে ভোগার ঝুঁকি কমে। ডায়াবেটিস গড়ে চার বছর পরে এবং উচ্চ রক্তচাপ দুই বছর পরে দেখা দিয়েছে, যাদের শৈশবে চিনির গ্রহণ বেশি ছিল তাদের তুলনায়।

JAMA Network-এ প্রকাশিত সাম্প্রতিক গবেষণা অনুসারে, ২০১৯ সালে বিশ্বের সর্বোচ্চ শিশু ডায়াবেটিসের হার এবং ডায়াবেটিস-সম্পর্কিত মৃত্যুর রেকর্ড করেছে ভারত, যার জন্য এই গবেষণার ফলাফলগুলি বিশেষভাবে গুরুত্বপূর্ণ।

বিশেষজ্ঞরা পরামর্শ দিয়েছেন যে ডায়াবেটিস প্রতিরোধের জন্য স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা—সুষম খাবার খাওয়া, চিনিযুক্ত পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার কম খাওয়া এবং নিয়মিত ব্যায়াম করা গুরুত্বপূর্ণ। সবচেয়ে বড় কথা, এমন একটি পরিবেশ তৈরি করা গুরুত্বপূর্ণ যা শিশুদের স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা বেছে নিতে সাহায্য করবে।