সংক্ষিপ্ত

চিকিৎসকরা মনে করছেন পাখিদের দেহ থেকে মানুষের দেহে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। চলতি বছরেই মার্কিন দেশে ৬১ জনের দেহে বার্ড ফ্লু-র দেখা মিলেছে।

 

২০২৫ সালে আবারও কি ফিরে আসবে মহামারির কালো দিনগুলি। তেমনই আশঙ্কা শুরু হয়েছে। ইতিমধ্যেই প্রচুর মানুষের মৃত্যু হয়েছে । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে মঙ্গোলিয়ায় বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া, নাকি ছত্রাক- কী সেই মারণ রোগের ভাইরাস- যা নিয়ে আশঙ্কা বাড়ছে বিশ্বজুড়ে। জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত তিনটি রোগ- ম্যালেরিয়া, এইচআইভি ও টিউবারকিউলোসিসকে বাগে আনতে পেরেছে মানুষ। এই রোগগুলি একটা সময় প্রচুর মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। তবে এর পরে কোনও রোগ নিয়ে এত চিন্তা করেননি বিশেষজ্ঞরা। কিন্তু এই রোগ নিয়ে সমস্যা বাড়ছে। রোগটি হল H5N1 টাইপ ভাইরাস। এটি একটি বার্ড ফ্লুর মতই রোগ। বন্য ও গৃহপালিত পশুপাখিদের মধ্যে দ্রুত ছড়ায়। পোলট্রি ফার্ম থেকে এই ভাইরাস সংক্রমণ দ্রুত হয় বলেও মনে করছেন চিকিৎসকরা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মঙ্গলিয়ার বিভিন্ন পশুর ফার্মে বাড়ছে এই রোগের প্রকোপ।

চিকিৎসকরা মনে করছেন পাখিদের দেহ থেকে মানুষের দেহে এই ভাইরাসের ছড়িয়ে পড়ার সম্ভাবনা সবথেকে বেশি। চলতি বছরেই মার্কিন দেশে ৬১ জনের দেহে বার্ড ফ্লু-র দেখা মিলেছে। যাদের দেহে এটি দেখা গিয়েছে তারা প্রায় সকলেই পশুর খামারেই কাজ করেন। সেখান থেকেই তাদের দেহে এই ভাইরাস মিলেছে। এর আরও একটি বৈশিষ্ট্য হল এক ব্যক্তির দেহ থেকে অন্য ব্যক্তির দেহে অতি দ্রুত এটি ছড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে মহামারির আকার ধারণ করতে এর বেশি সময় লাগবে না।

এই ধরনের ভাইরাস অতি সহজেই মানুষের দেহের কোষে ছড়িয়ে পড়ে। দেশে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে কমিয়ে দেয়। যাতে জ্বর সর্দির মত সাধারণ রোগের পাশাপাশি জটিল রোগও মানুষের দেহে সহজে দানা বাঁধতে পারে। এই রোগের হাত থেকে বাঁচতে সম্প্রতি পোলট্রি ফার্মগুলির ওপর কড়া নজরদারি চালান হচ্ছে। পাখি খামারগুলিরও রয়েছে কড়া নজরে। ২০২৫ সালে যদি এই রোগ দ্রুত ছড়ায় তাহলে মারামারির আকার নিতে পারে বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।