সংক্ষিপ্ত
শীতে মানুষের খাওয়ার রুচি বেড়ে যায়। ভাজা, মশলাদার খাবার বেশি খাওয়া হয়। এতে ওজন বাড়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ওজন নিয়ন্ত্রণ করা কঠিন হয়ে পড়ে কারণ আমরা কম ব্যায়াম করি। ঠান্ডা আবহাওয়া শরীরকে গরম রাখতে বেশি ক্যালোরি চায়, যা ওজন কমানোকে আরও চ্যালেঞ্জিং করে তোলে। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে কিছু উষ্ণ ও সুগন্ধযুক্ত মশলার ব্যবহার করে ওজন নিয়ন্ত্রণ করতে পারেন। এই মশলাগুলি কেবল খাবারের স্বাদই বাড়ায় না, ওজন নিয়ন্ত্রণেও সাহায্য করে।
১. দারচিনি (Cinnamon)
দারচিনি ওজন কমাতে এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে। এর সক্রিয় উপাদান সিনামালডিহাইড (Cinnamaldehyde) মেটাবলিজম বাড়ায়। ইনসুলিনের সংবেদনশীলতা উন্নত করে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখে। এটি ক্ষুধা দমন করে এবং চর্বির জারণ বাড়ায়।
২. হলুদ (Turmeric)
হলুদের সক্রিয় উপাদান কারকিউমিন (Curcumin) চর্বির বিপাক বাড়ায় এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। এটি থার্মোজেনেসিস (Thermogenesis) বাড়ায়, যার ফলে শরীর শক্তির জন্য চর্বি পোড়ায়। কারকিউমিন প্রদাহ কমায়, ইনসুলিন সংবেদনশীলতা উন্নত করে এবং ক্ষুধা দমন করে।
৩. গোলমরিচ (Black Pepper)
গোলমরিচে উপস্থিত পাইপারিন (Piperine) বিপাক ত্বরান্বিত করে এবং ওজন কমাতে সাহায্য করে। পাইপারিন থার্মোজেনেসিস বাড়ায় এবং শরীরের শক্তি ব্যয় বৃদ্ধি করে। এটি হজম উন্নত করে, প্রদাহ কমায়।
৪. এলাচ (Cardamom)
এলাচ ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি হজমশক্তি উন্নত করে, পেট ফাঁপা কমায় এবং বিপাক ত্বরান্বিত করে। এর সিনেওল (Cineole) এবং লিমোনিন (Limonene) ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে এবং চর্বি পোড়াতে সাহায্য করে।
৫. আদা (Ginger)
আদা শীতে ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এটি বিপাক বাড়ায় এবং ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করে। আদায় উপস্থিত জিনজেরল (Gingerol) থার্মোজেনেসিস বাড়ায় এবং খাবার পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। আদা হজমশক্তি উন্নত করে, প্রদাহ কমায় এবং শরীরকে উষ্ণ রাখে। আপনি এই সব মশলা মিশিয়ে একটি পানীয় তৈরি করতে পারেন। প্রতিদিন খালি পেটে পান করলে ওজন কমে।