রোজ যে আটার তৈরি রুটি খাচ্ছেন, তা আদৌও খাঁটি তো? কীভাবে বুঝবেন, দেখে নিন
- FB
- TW
- Linkdin
আজকাল জোয়ার রুটির চেয়ে গমের রুটি বেশি খাওয়া হয়। আসলে গমের রুটিও স্বাস্থ্যের জন্য ভালো। গমের আটায় ভিটামিন বি, আয়রন, ম্যাগনেসিয়াম সহ নানা ধরনের পুষ্টি উপাদান থাকে। এগুলো আমাদের সুস্থ থাকতে সাহায্য করে। নিয়মিত গমের রুটি খেলে আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি পায়। ওজনও কমে।
তবে কি জানেন গমের আটাও ভেজাল হতে পারে? অনেকে গমের আটায় ভুসি মেশান। এতে আটার মান কমে যায়। এছাড়াও এই আটায় পুষ্টিগুণও কম থাকে।
আটায় ভুসি কেন মেশানো হয়?
জানেন কি? খাঁটি গমের আটার চেয়ে ভুসির দাম অনেক কম। তাই ব্যবসায়ীরা গমের আটায় ভুসি মেশান। ভুসির কারণে আটার ওজন বেড়ে যায়। তাদের খরচও কমে। তবে ভেজাল আটাও খাঁটি আটার মতো দেখতে হয়। তাই এটি শনাক্ত করা খুবই কঠিন। কিন্তু এই পদ্ধতিতে সরবরাহকারীরা কম খরচে বেশি লাভ করেন।
আটায় ভুসি কীভাবে শনাক্ত করবেন?
এফএসএসএআই অনুযায়ী, গমের আটার খাঁটিতা পরীক্ষা করার একটি সহজ উপায় আছে। এর জন্য আপনাকে খুব বেশি কষ্ট করতে হবে না। এর জন্য প্রথমে একটি গ্লাসে জল নিয়ে তাতে অল্প গমের আটা দিন।
খাঁটি আটায় অল্প ভুসি জলের উপরে ভেসে থাকবে। কিন্তু যদি আটায় অনেক ভুসি জলের উপরে ভেসে থাকে তাহলে বুঝতে হবে এটি ভেজাল। এরকম আটায় প্রচুর পরিমাণে ভুসি মেশানো হয়েছে।
হজমশক্তি নষ্ট করে
বেশি ভুসি মেশানো গমের আটার রুটি খেলে আপনার হজম ক্ষমতা কমে যাবে। শুধু তাই নয়, এর মাধ্যমে আপনি খুব কম পুষ্টি পাবেন। এরকম আটার রুটির স্বাদ, আকার পরিবর্তন হয়ে যায়। এরকম রুটি শক্ত এবং কিছুটা তিতা হয়।
অতিরিক্ত ভুসি খাওয়ার ফলে পেট ফাঁপা, গ্যাস, বদহজমের মতো সমস্যা দেখা দেয়। বিশেষ করে যাদের ফাইবারযুক্ত খাবারে অ্যালার্জি আছে তাদের।
গমের ভুসিতে ফাইবার থাকে। কিন্তু এতে নিম্নমানের ভুসি মেশানো হয়। এতে রুটির স্বাদ কমে যায়। হজমের সমস্যাও দেখা দেয়। তাই গমের আটা ভেজাল কিনা তা বোঝার উপায় জেনে নেওয়া যাক।