শিশুদের সুপারফুড! প্রতিদিন ডিম খাওয়ালে 'এত' উপকার পাওয়া যায় জানতেন?
- FB
- TW
- Linkdin
প্রতিদিন ডিম খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো, এটা আমরা সবাই জানি। কারণ ডিমে প্রচুর পুষ্টি উপাদান রয়েছে। শিশুদের কি প্রতিদিন ডিম দেওয়া উচিত? অনেক মায়ের এই প্রশ্ন থাকে। এর উত্তর হ্যাঁ। কারণ, শিশুদের বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় সমস্ত পুষ্টি উপাদান ডিমেই রয়েছে। তাই শিশুদেরও প্রতিদিন ডিম দেওয়া যেতে পারে।
ডিমে থাকা পুষ্টি উপাদান:
ডিমে প্রোটিন, আয়রন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, ভিটামিন এ, ভিটামিন ডি, ভিটামিন ই, ভিটামিন বি১২, ভিটামিন বি৬ এর মতো অনেক পুষ্টি উপাদান রয়েছে। এগুলি শিশুর স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ভালো। বিশেষ করে শিশুর বুদ্ধি তীক্ষ্ণ করতে সাহায্য করে।
প্রতিদিন শিশুদের ডিম খাওয়ালে কি কি উপকার পাওয়া যায়:
মাংসপেশীর বিকাশে সাহায্য করে
ডিমে থাকা প্রোটিন শিশুদের মাংসপেশীর বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়াও, এতে থাকা পুষ্টি উপাদানগুলি শিশুদের শরীরের অন্যান্য কোষগুলি মেরামত করতে সাহায্য করে। আপনি কি জানেন.. একটি ডিমে ৬ গ্রাম প্রোটিন থাকে, তাই এটি শিশুদের শারীরিক বিকাশ এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এর জন্য শিশুদের সকালের নাস্তায় ডিম রাখুন। এটি ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণ করবে।
মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে
ডিমে থাকা কোলিন শিশুদের মস্তিষ্কের বিকাশে সাহায্য করে। এছাড়াও এটি শিশুদের স্মৃতিশক্তি এবং জ্ঞান বৃদ্ধিতে সাহায্য করে। শিশুদের খাবারে প্রতিদিন ডিম রাখলে তাদের শেখা এবং বোঝার ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়।
হাড় মজবুত করতে সাহায্য করে
ডিমে থাকা ভিটামিন শিশুদের হাড় মজবুত রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিন সকালে শিশুদের ডিম খাওয়ালে তাদের দাঁতের স্বাস্থ্য ভালো থাকে এবং হাড় গঠনে সাহায্য করে।
চোখের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী
শিশুরা বেশি সময় স্ক্রিনের সামনে বসে থাকলে তাদের চোখের দৃষ্টিশক্তি দুর্বল হতে শুরু করে। এই অবস্থায় শিশুদের ডিম খাওয়ানো খুবই উপকারী। কারণ, ডিমে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্টগুলি শিশুদের চোখকে ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে রক্ষা করে এবং তাদের দৃষ্টিশক্তি তীক্ষ্ণ করে।
সুষ্ঠু পাচনতন্ত্রের জন্য উপকারী
ডিমে প্রচুর প্রোটিন এবং ফাইবার থাকায় এটি খাবার সহজে হজম করতে এবং পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করে। তাই এটি শিশুদের পাচনতন্ত্রকে সুস্থ রাখে।
শিশুদের কিভাবে ডিম খাওয়াবেন?
সাধারণত শিশুদের সিদ্ধ ডিম খাওয়ানোই সবচেয়ে ভালো। এছাড়াও আপনি ডিম দিয়ে অমলেট, স্যান্ডউইচ, ডিম ভাজি ইত্যাদি বানিয়ে খাওয়াতে পারেন।