ঘেমে ভেজা বগল এবং শরীরের দুর্গন্ধ জীবনের স্বাভাবিক অংশ। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন এমনটা হয়? অতিরিক্ত ঘামের ফলে কিছু সংক্রমণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন পুষ্টিবিদ নমামি আগরওয়াল।

সকালে কাজে বেরিয়ে সন্ধ্যায় বাড়ি ফিরতে ফিরতে গায়ের দুর্গন্ধ অসহ্য হয়ে ওঠে। অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বডি স্প্রে ব্যবহার করেন। তবুও অনেকের ক্ষেত্রেই দুর্গন্ধ দূর হয় না। গরমকালে এই সমস্যা আরও প্রকট আকার ধারণ করে। শরীরের দুর্গন্ধ দূর করার কিছু উপায় নিয়ে সম্প্রতি ইনস্টাগ্রামে একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন পুষ্টিবিদ।

ঘাম এবং শরীরের দুর্গন্ধ জীবনের স্বাভাবিক অংশ। কিন্তু কখনও কি ভেবে দেখেছেন কেন এমনটা হয়? অতিরিক্ত ঘামের ফলে কিছু সংক্রমণ হতে পারে বলে জানিয়েছেন নমামি আগরওয়াল। আমাদের শরীরে দুই ধরনের ঘর্মগ্রন্থি আছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।

এক্রাইন গ্রন্থি

এক্রাইন গ্রন্থি শরীর জুড়ে গন্ধহীন ঘাম উৎপন্ন করে, যা শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে।

অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি

অ্যাপোক্রাইন গ্রন্থি বগল এবং যৌনাঙ্গের মতো অংশে ঘাম উৎপন্ন করে। এটি কেবল সংক্রমণই নয়, দুর্গন্ধেরও কারণ হতে পারে। মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, হরমোন, পরিচ্ছন্নতা ইত্যাদি বিষয়গুলিও দুর্গন্ধের উপর প্রভাব ফেলে বলে তিনি জানান। শরীরের অতিরিক্ত ঘাম এবং দুর্গন্ধ কমাতে দুটি টিপস দিয়েছেন নমামি আগরওয়াল।

এক

মশলাদার খাবার, ক্যাফেইন, অ্যালকোহল ইত্যাদি অতিরিক্ত ঘামের কারণ হতে পারে। প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া শরীরের দুর্গন্ধ বাড়ায়। তাই শরীরকে সুস্থ রাখতে জলযুক্ত খাবার, ফল এবং শাকসবজি খান।

দুই

ঘাম শোষণ করতে এবং ত্বককে ঠান্ডা রাখতে সুতির কাপড় অথবা ঘাম শোষণকারী পোশাক পরুন। টাইট পোশাক এড়িয়ে চলুন কারণ এতে তাপ এবং ঘাম আটকে থাকে, যা দুর্গন্ধ সৃষ্টিকারী ব্যাকটেরিয়ার বৃদ্ধি ঘটায়।