সংক্ষিপ্ত
ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তেমনই শরীরে ভিটামিন ডি বাড়ানোও বিপজ্জনক হতে পারে। আসুন জেনে নিই শরীরে ভিটামিন ডি বাড়ানোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?
Vitamin D toxicity: আপনি যদি স্নায়ু এবং মস্তিষ্কের সমস্যা থেকে দূরে থাকতে চান, তাহলে অবশ্যই খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ডি অন্তর্ভুক্ত করুন। আসলে ভিটামিন ডি শরীরের অভ্যন্তরে মেসেজিং সিস্টেমকে উন্নত করতে কাজ করে। সহজ ভাষায় বলতে গেলে আপনার মস্তিষ্ক যদি শরীরে কোনও বার্তা পাঠায় এবং কীভাবে এই বার্তা শরীরে পৌঁছায়, এই পুরো কাজটি ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে সম্পর্কিত। এগুলি ছাড়াও, হরমোনের স্বাস্থ্য এবং ঘুমের সমস্যাগুলিও ভিটামিন ডি-এর সঙ্গে যুক্ত। ভিটামিন ডি-এর ঘাটতি যেমন শরীরের জন্য ক্ষতিকর, তেমনই শরীরে ভিটামিন ডি বাড়ানোও বিপজ্জনক হতে পারে। আসুন জেনে নিই শরীরে ভিটামিন ডি বাড়ানোর পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কি কি?
শরীরে ভিটামিন ডি বৃদ্ধির লক্ষণ
হাইপারক্যালসিয়া
আপনার তথ্যের জন্য, আমরা আপনাকে বলি যে যখন শরীরে ভিটামিন ডি বৃদ্ধি পায়। তাই একে হাইপারভিটামিনোসিস ডি বলা হয়। এটি এমন একটি অবস্থা যখন শরীরে ভিটামিন ডি অতিরিক্ত থাকে। আসলে এমনটা হয় যে রক্তে ক্যালসিয়াম জমতে শুরু করে যার ফলে হাইপারক্যালসিয়ার সমস্যা দেখা দেয়। এই পরিস্থিতি আপনার হার্টের স্বাস্থ্য এবং রক্ত সঞ্চালনের জন্য বিপজ্জনক প্রমাণিত হতে পারে।
বমি ভাব এবং দুর্বলতা
শরীরে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ বেড়ে গেলে বমি ও দুর্বলতা হতে পারে। আসলে, ভিটামিন ডি আপনার হজমকে অনেকাংশে প্রভাবিত করে। এই কারণে, আপনার ঘন ঘন বমি বমি ভাব হতে পারে। বমির পর দুর্বলতার শিকার হতে পারেন।
হাড়ের ব্যথা এবং কিডনির সমস্যা
ভিটামিন ডি এর অভাব হাড়কে সবচেয়ে বেশি প্রভাবিত করে। একইভাবে শরীরে ভিটামিন ডি বেড়ে গেলে হাড়ে তীব্র ব্যথা হতে পারে। রক্তে ক্যালসিয়াম জমতে শুরু করলে হাড়ের প্রস্থ কমতে শুরু করে। এটি রক্ত সঞ্চালনের উপর একটি দুর্দান্ত প্রভাব ফেলে। যার কারণে হাড়ে প্রচণ্ড ব্যথা হতে পারে। এটি কিডনির কার্যকারিতা এবং পরিস্রাবণকেও প্রভাবিত করতে পারে।