বিজ্ঞানী এবং সরকারের তরফে জানানো হয়েছে, কোনও প্রমাণ ছাড়া ভ্যাকসিন নিয়ে প্রশ্ন তোলা বিপজ্জনক। তরুণদের মধ্যে হার্ট অ্যাটাকের সমস্যা বৃদ্ধির কারণে এইমসের গবেষণা কি বলছে? 

অতিমারি-পরবর্তী সময়ে প্রাপ্তবয়স্কদের অকালমৃত্যুর সঙ্গে কি কোনও ভাবে কোভিড টিকার যোগ রয়েছে? সেই আবহে ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল কাউন্সিল (আইসিএমআর) এবং এমস যৌথ রিপোর্ট দিয়ে জানিয়ে দিল, করোনার টিকা নেওয়ার সঙ্গে হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর কোনও যোগ নেই।

অতিমারি কালের পর থেকেই বিভিন্ন সময়ে খবরে দেখা গিয়েছে, কোভিডের টিকা নিয়েছেন, এমন অনেকেই আচমকা হৃদ্‌রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন, যাঁদের অনেকেই কমবয়সি। করোনার টিকা নেওয়ার কারণে তাঁরা মারা যাচ্ছেন বলে অভিযোগ ওঠে বিভিন্ন মহলে। গায়ক কেকে, অভিনেতা সিদ্ধার্থ শুক্লা এবং সম্প্রতি অভিনেত্রী শেফালী জরীওয়ালার মৃত্যুতেও কোভিড টিকা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন অনেকে। তবে প্রাপ্তবয়স্কদের অকালে মৃত্যুর ঘটনা বাড়ছে, এ রকম কোনও তথ্য বা পরিসংখ্যান নেই।

এইমসের চিকিৎসক গবেষকদের বক্তব্য, ভারতে তরুণদের মধ্যে আকস্মিক মৃত্যুর প্রধান কারণ করোনারি আর্টারি ডিজিজ। তবে বেশ কিছু ক্ষেত্রের মৃত্যুর কারণ নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। গবেষকরা বলছেন, ওই সব মৃত্যুর কারণ জানতে আধুনিক ময়নাতদন্তের প্রয়োজন। পাশাপাশি তরুণ প্রজন্মের হৃদরোগ নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য সচেতনতার কথাও বলা হয়েছে। গবেষণায় তরুণ প্রজন্মের হদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুর জন্য কোভিড ভ্যাকসিনকে দায়ী করা হয়নি। দিল্লির এইমসের চিকিৎসক ও গবেষক ডা. সুধীর আরাভা বলেন, আশা করি মানুষের কাছেও বিষয়টি এবার বোধগম্য হবে।

১৮-৪৫ বছরের নারী-পুরুষের আকস্মিক মৃত্যু সংক্রান্ত গবেষণায় খতিয়ে দেখা হয় ময়নাতদন্তের রিপোর্ট। বলা বাহুল্য বিষয়টি জনস্বাস্থ্যের জন্য উদ্বেগের। কারণ এই বয়সে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর ঘটনা বিরল। ২২১৪টি ময়নাতদন্ত খতিয়ে দেখেন গবেষকরা। এর মধ্যে ১৮০টি আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা। অর্থাৎ ৮.১ শতাংশ। ৫৭.২ শতাংশ আকস্মিক মৃত্যু হয়েছে তরুণদের। অন্যদিকে ৪৬-৬৫ বছর বয়সিদের ক্ষেত্রে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে আকস্মিক মৃত্যুর ঘটনা ৪২.৮ শতাংশ।