সংক্ষিপ্ত
ঘুমানোর সময় একটি বালিশ রাখলে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারেন। পা বা হাঁটুর মাঝে বালিশ রেখে ঘুমালে শুধু ভালো ঘুমই হয় না, পিঠের ব্যথাও উপশম হয়।
সকালে ঘুম থেকে উঠলে কি আপনার পিঠে ব্যথা হয়? আপনি কি এই যন্ত্রণায় অস্থির? তাই ডাক্তারের কাছে যাওয়ার আগে আপনার ঘুমের অভ্যাস পরিবর্তন করার চেষ্টা করা উচিত। কারণ অনেক সময় ভুল সময়ে ঘুম এবং রাতে খারাপ ভঙ্গিতে শোওয়ার কারণে পিঠে ব্যথা বা শক্ত হয়ে যাওয়ার সমস্যা হয়। ঘুমানোর সময় একটি বালিশ রাখলে তা সঠিকভাবে ব্যবহার করে এই সমস্যাগুলো কাটিয়ে উঠতে পারেন। পা বা হাঁটুর মাঝে বালিশ রেখে ঘুমালে শুধু ভালো ঘুমই হয় না, পিঠের ব্যথাও উপশম হয়।
হাঁটুর মাঝে বালিশ রাখলে কেন উপকার হয়?
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, পায়ের মাঝে বালিশ রেখে ঘুমালে পেলভিস নিরপেক্ষ থাকে এবং মেরুদণ্ড সারা রাত স্থিতিশীল থাকে। এই কারণে, টিস্যুতে চাপ আসে না এবং হার্নিয়েটেড ডিস্ক বা সায়াটিকার কারণে সৃষ্ট ব্যথা হ্রাস পায়। সেজন্য হাঁটুর মাঝে বালিশ রাখলে উপকার পাওয়া যায়।
হাঁটুর মাঝে বালিশ রাখার ৫টি অসাধারণ উপকারিতা
১) আপনি যদি কোমর ব্যথা বা নিতম্বের ব্যথার সমস্যায় অস্থির হয়ে থাকেন, তাহলে আজ থেকেই হাঁটুর মাঝে বালিশ রেখে ঘুমানো শুরু করুন। এতে ভালো ঘুম হবে এবং ব্যথা কমে যাবে।
২) যদি পিঠের নিচের অংশে এবং নিতম্বে ব্যথা হয় তবে এটি সায়াটিকার কারণে হয়। এ থেকে রেহাই পেতে হাঁটুর মাঝে বালিশ দিয়ে ঘুমান।
৩) যদি সায়াটিকার সমস্যা থাকে যেমন পিঠের নীচের অংশে ব্যথা বা নিতম্বে টর্শন, তবে পায়ের মাঝে বালিশ দিয়ে ঘুমালে উপশম পাওয়া যায়।
৪) হাঁটুর মাঝে বালিশ রেখে ঘুমালে মেরুদণ্ডের সারিবদ্ধতায় কোনও সমস্যা বা ব্যথা হয় না।
৫) হার্নিয়েটেড ডিস্কের সমস্যা মেরুদন্ডের অতিরিক্ত ঘূর্ণন বা তার উপর চাপের কারণে হয়। এমন অবস্থায় পিঠের হাড়ের ঘূর্ণন কমিয়ে আপনি এই ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে পারেন। এর জন্য পায়ের মাঝে বালিশ রাখলে উপকার পাওয়া যায়।