সংক্ষিপ্ত

নিজেকে আকর্ষণীয় বা সুন্দর করে তোলার জন্য কিন্তু সর্বদা মেক-আপের প্রয়োজন নেই। রয়েছে মেকওভারের প্রয়োজন। যা অপনি ঘরে বসেই করে নিতে পারেন।  বিজ্ঞানসম্মত এই চারটি উপায় মেনে চললেই হাতেনাতে তার ফল পাবেন। 

সকলের সামনে নিজেকে উপস্থাপক, মনমুগ্ধকর আর আকর্ষণীয় করে তুলতে কে না চায়? কিন্তু  এর জন্য কোনও কঠোর পরিশ্রম বা কররতের প্রয়োজন নেই। তেমনই নেই চড়া মেক-আপের। বিজ্ঞান সম্মত উপায় এই চারটি পথ অবলম্বন করলেই আপনি সকলের কাছে আরও আকর্ষণীয় আর মনোমুগ্ধকর হতে উঠতে পারবেন। নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের জন্য রইল এই টিপস। 


কথার ধরন-
 একটি সমীক্ষায় কথা বলার ধরন বা গলার স্বরের ওপর অনেকটা নির্ভর করে কোনও ব্যক্তি বা মহিলার ভাবমূর্তি কেমন হবে তার প্রথম ধাপ। সমীক্ষায় আরও বলা হয়েছে ভোকাল ফ্রাই অর্থাৎ সাধারণের তুলনায় নিচু কিন্তু দৃঢ় কণ্ঠ ব্যবহারকারী মানুষরা খুবই আকর্ষণীয়। অর্থাৎ চিৎকার না করলেও বলিষ্ট কণ্ঠস্বর ব্যবহার করা জরুরি। সঙ্গে অবশ্যই জোর দিতে হবে শব্দ চয়নে। অশালীন মন্তব্য এড়িয়ে চলা জরুরি। 

দ্রুত হাঁটুন- 
নিজেকে সকলের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে গেলে কখনই ধীরু হলে চলবে না । দ্রুত হাঁটা ও কাজ করা জরুরি। বিজ্ঞান অনুযায়ী কোনও ব্যক্তি যদি স্টেডি না হয় তাহলে তাঁকে অসল বলেও ধরে নেয় বাকিরা। তাঁকে কখনই গুরুত্ব দেয় না বন্ধু মহল। কিন্তু যারা দ্রুত কাজ করে বা হাঁটাচলা করে তাদের গুরুত্ব অনেকটাই বেড়ে যায়। যা তাকে আকর্ষণীয় করে তোলে। 

নম্র হতে হবে- 
সকলের কাছে নিজেকে গ্রহণযোগ্য আর আকর্ষণয়ী করে তোলার জন্য নম্র স্বভাব খুবই জরুরি। হার্ভাড বিজনেজ স্কুলের সমীক্ষায় বলা হয়েছে যারা নম্র তারা সকলের মধ্যে একটি ভালো ধারনা তৈরি করতে পারে সহজেই। একটি একটি স্ব-প্রচারমূলক কৌশল হতে পারে। অন্যের সম্পর্কে বা কোনও বিষয় সম্পর্কে কম অভিযোগ করুন। 

বিশ্বস্ত -
কারও কাজের বা বন্ধুমহল বা অফিসে নিজেকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য বিশ্বস্ত হওয়া জরুরি। একজনের কথা অন্য কারো কাছে না বলাই শ্রেয়।  পরনিন্দা করলে কিন্তু নষ্ট হতে পারে আপনার সম্মান। পাশাপাশি আপনি যাদের পছন্দ করেন না তাদের সঙ্গেও কথা বলুন- তবে সেটা হাই হ্যালোর মধ্যেই সীমাবদ্ধ রাখতে পারেন। বেশি কথা বললেন আপনার মনের ভাব প্রকাশ পেতে পারে। যাতে নষ্ট হতে পারে ভাবমূর্তি। 

এছড়াও কতগুলি জিনিস মেনে চলুন- যেগুলি হল মুখের ওপর কাউকে না বলবেন না। ঘুরিয়ে না বলা অভ্যাস করুন। তাতে আপনার সমস্যা অনেকটাই কমবে। এছাড়া অফিস কলেজ বা বন্ধু মহলে নিজের ইগো প্রকাশ পেতে দেবেন না। নিজের সমস্যা বড় করে দেখাবেন না। নিজের সমস্যা কথা বেশি না বলাই শ্রেয়।