সংক্ষিপ্ত
বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। সকল সেবিকাদের পরিশ্রমকে শ্রদ্ধা জানাতে নির্দিষ্ট করা হয়েছে দিনটি। আজকের দিনে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্ম হয়েছিল। তিনি ছিলেন আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা। জানা যায়, ১৯৬৫ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত হয়। এই দিন সমাজ সংস্কারক, পরিসংখ্যানবিদ এবং আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে নার্সিং দিবস হিসেবে।
নার্সদের কঠিন পরিশ্রম, তাদের সেবা ছাড়া কোনও রোগীর সুস্থ হয়ে ওঠা কঠিন। আজ সেই মানুষদের শ্রদ্ধা জানানোর দিন। আজ বিশ্ব জুড়ে পালিত হচ্ছে আন্তর্জাতিক নার্স দিবস। সকল সেবিকাদের পরিশ্রমকে শ্রদ্ধা জানাতে নির্দিষ্ট করা হয়েছে দিনটি। আজকের দিনে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের জন্ম হয়েছিল। তিনি ছিলেন আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতা।
জানা যায়, ১৯৬৫ সালে প্রথম আন্তর্জাতিক নার্স দিবস পালিত হয়। এই দিন সমাজ সংস্কারক, পরিসংখ্যানবিদ এবং আধুনিক নার্সিংয়ের প্রতিষ্ঠাতার জন্মদিন। তাঁর জন্মদিনকেই নির্দিষ্ট করা হয়েছে নার্সিং দিবস হিসেবে।
প্রতি বছর এই দিনটি একটি থিম গৃহীত হয়। এবছরের থিম হল নার্সেস- আ ভয়েস টু লিড- ইনভেস্ট ইন নার্সিং অ্যান্ড রেসপেক্ট রাইট টু সিকিওর গ্লোবাল হেলথ (Nurses: a voice of lead- invest in nursing and respect rights to secure global health)।
১৮২০ সালে ১২ মে ইতালির এর আভিজাত পরিবারে জন্ম হয় ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেলের। ১৯৭৪ সাল থেকে তাঁর জন্মদিনটি ইন্টারনেশনাল নার্সেস ডে হিসেবে পালন করা হচ্ছে। ডার্বিশায়ার থেকে ১৭ বছর বয়সে লন্ডনে আসেন ফ্লোরেন্স। সেই সময় লন্ডনের হাসপাতালের অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। কারণে কোনও সেবিকা সে সময় কাজ করতেন না। সে সময় সামাজিক ভাবে মর্জাদা দেওয়া হত না নার্সিং পেশাকে। তা সত্ত্বেও নাইটেঙ্গিলে লড়াই করেন। তিনি ১৮৫১ সালে নার্সের প্রশিক্ষণ নিতে জার্মানিতে যান। তারপর তিনি নজে ১৮৬০ সালে নার্সিংকে সম্পূর্ণ পেশা হিসেবে প্রতিষ্ঠা করার জন্য স্থাপন করেন নাইটিঙ্গেল ট্রেনিং স্কুল। তারপর ১৮৬৭ সালে নিউইয়র্কে চালু হয়, উইমেন্স মেডিক্যাল কলেজ।
এভাবে একে জন সমক্ষে আসতে শুরু করে এই পেশার গুরুত্ব। ভারতেও তাঁরই প্রচেষ্টায় এই পেশার খ্যাতি বাড়তে থাকে। ১৮৮৩ সালে তাঁর এই কাজের জন্য তিনি রয়েল রেডক্রস সম্মান লাভ করেন। একের পর এক সম্মান পান ফ্লোরেন্স নাইটেঙ্গেল। তারপর ১৮৬০ সালে লন্ডনে বিশ্বে প্রথম তৈরি হয় নার্সিং শেখানোর স্কুল। যে স্কুল নির্মানে তাঁর ভূমিকা ছিল বিস্তর।
যুগ যুগ ধরে সেবিকাদের পরিশ্রম চাক্ষুস করেছেন সকলে। শেষে করোনার সময়ও নিজের প্রাণের কথা ভুলে শুধু অসহায়দের পাশে থাকতে দেখা গিয়েছে তাঁদের। সেবা করতে গিয়ে করোনার সময় প্রাণও হারিয়েছেন বহু মানুষ। আজ সেই পরিশ্রম ও সেই পরিশ্রমী মানুষদের সম্মান জানানের দিন।
আরও পড়ুন- শোয়া-বসা-হাঁটার সময় স্ত্রীকে রাখুন বাম দিকে, তাহলেই সুখের হবে দাম্পত্য
আরও পড়ুন- ভুলেও উত্তরদিকে মুখ করে বসে খাবার খাবেন না, জেনে নিন ভাত-রুটি রাখবেন কোন দিকে